জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের দুই পদে ৫৯ প্রার্থী !
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০১৬, ৭:৪৮ অপরাহ্ণ
জুড়ি সংবাদদাতা: বিলুপ্ত থাকা মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি শীঘ্রই আসছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম জাকির হোসাইন ও জেলা সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের মন জয় করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৫৯ জন প্রার্থী।
সুত্রে জানা যায়, জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি মো. মুমিন খাঁন, জুয়েল রানা, আব্দুল মতিন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুর রশীদ রাজি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মুহিদুর রহমান রাসেল, সিদ্দিকুর রহমান সুমন, শাহাবউদ্দিন সামছু, হাসান আহমদ প্রমুখ সভাপতি পদে পেতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন ।
সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন জুড়ি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়ছল আহমদ, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এমদাদুল হক সুমন, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাহাবউদ্দিন সাবেল, জুড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান গুলশান আরা মিলির ছোট ভাই সাকের আহমদ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাজীবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা উজ্জ্বল ভূইয়া প্রমুখ।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনসহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের মন জয় করতে জুড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।
জুড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখরুল ইসলাম বলেন, জুড়ি হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস,এম জাকির হোসাইনের নিজ উপজেলা। তাই জুড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের আগামী দিনের কান্ডারী হিসেবে সৎ, নির্ভিক কর্মী নির্বাচিত হবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।
এদিকে দীর্ঘদিন থেকে জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রমে সক্রিয় থাকায় সভাপতি পদে দৌড়ঝাঁপে এগিয়ে রয়েছেন সর্বশেষ কমিটির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজপথ কাঁপানো তুখোড় ছাত্রনেতা মোঃ মুনিম খাঁন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে এগিয়ে রয়েছেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়ছল আহমদ ।দৌড়ঝাঁপে থাকা অন্যান্য সভাপতি সম্পাদক পদ প্রার্থীরা সবাই নিজেদের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অধ্যয়নরত ছাত্রদের ছাত্রলীগের দায়িত্ব দিলে ছাত্রলীগ আরও সুসংগঠিত হবে। দুটি পদে ৫৯ প্রার্থী হওয়ায় দলীয় গ্রুপিংকে দায়ি করছেন তারা।
মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান রনি বলেন, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অধ্যয়নরত ছাত্র ছাড়া কাউকে ছাত্রলীগের কোন পদ দেয়া হবে না। এবারের কমিটিতে জীবন বৃত্তান্ত ও ছাত্ররাজনীতির অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে ছাত্রলীগের দায়িত্ব দেয়া হবে।