উল্লাসিত ওসমানীনগরবাসীঃ অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন মকবুল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জুন ২০১৬, ৫:২১ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন মকবুল। তার জামিন লাভের ফলে মানবতার জয় হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন অনেকে।
আর মকবুলের জামিনে উল্লাসিত সিলেটের ওসমানীনগর তথা সাদিপুর ইউনিয়নবাসী। রবিবার সন্ধ্যায় মকবুলকে কারাগেটে তার গ্রামের লোকজন ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।
এসময় মকবুল আহমেদ বলেন, আমার জন্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের কাছে আমি চিরঋণী। মকবুল আরও বলেন, ডাক্তাররা আমাকে নির্যাতন করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তারা আমার বাবার লাশ দাফন করতে দেয়নি। সেইসব ডাক্তারদের বিচার আল্লাহ করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তাজপুর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ্ ইসমাইল আলী, সৈয়দ ছাব্বির আহমেদ, সৈয়দ আবুল হোসেন, জুলু মিয়া, সৈয়দ রাহী, আলমগীর আলী, লিমন, জোবেদ হোসেন, রাহমানি, বিপ্লব, আরশ আলী, সাজান মিয়া, সেলিম রেজা, আবু তালেব, লিটন (ছোট রানা), আওলাদ, রেনু।
মকবুলকে বরণকালে সৈয়দ রাহি বলেন, আজ আমাদের আন্দোলন সফল হয়েছে আমরা সেইসব ডাক্তার নামধারী কসাইদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই যাতে আগামীতে এভাবে কেউ মকবুলের মত কারাবন্দী না হয়। আমরা এবার সেইসব দুষ্কৃত ডাক্তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামব।
উল্লেখ্য যে, গত কয়েকদিন ধরে মকবুলের মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন, গনস্বাক্ষর কর্মসুচী পালন করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন ভোরে ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের পূর্ব তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা আতিকুর রহমান আতিক (৫৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। চিকিৎসকদের অবহেলায় পিতার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে নিহতের ছেলে মকবুল ওরফে বুলবুল প্রতিবাদ করেন। এসময় হাসপাতালের সিকিউরিটি, আয়া, নার্স, স্টাফ ও চিকিৎসকরা মকবুলকে বেধড়ক মারপিট করে এবং দুপুর ১২টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন মাসের কারাদন্ডের অদেশ দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। মকবুলকে পিতার জানাজা কিংবা দাফন-কাফনে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।