পিতার মৃত্যুর পর ছেলের কারাদণ্ড: ক্ষোভে আন্দোলনে ওসমানীনগরবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুন ২০১৬, ১২:৩১ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন মকবুল আলী। এই ঘটনায় চিকিৎসক লাঞ্ছনার অভিযোগ এনে মকবুল আলীকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।
ওসমানীনগর উপজেলার শেরপুর গ্রামের মকবুল আলীকে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে ওসমানীনগরবাসী। প্রতিবাদে এবার আন্দোলনে নেমেছে উপজেলার মানবাধিকার কমিশনসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকবাসী ও মানবাধিকার কমিশনের ব্যানারে উপজেলার গোয়ালাবাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তরা মকবুলের মুক্তির দাবীর পাশাপাশি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের যে সব ডাক্তার মকবুলের সাথে এরকম আচরণ করেছে তাদের বিচারের দাবী জানান। বক্তারা সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বিষয়টি সূরাহা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেয়া হবে। শুক্রবার ৩ টার দিকে শেরপুরে মকবুল আলীর মুক্তির দাবীতে পৃথক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার কর্মসূচি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থায় শনিবার ভোরে মারা যান আতিকুর রহমান (৫৫)। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সাথে কথা বলেন আতিকুর রহমানের ছেলে মকবুল আলী। তার বাবার মৃত্যুর পর মকবুল চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করলে অন্যান্য চিকিৎসককরা মিলে মকবুলকে মারধর করেন। দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পিতার মৃত্যুর পর মুহূর্তে তাকে তিন মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়।