ওসমানীনগরের জয়ী অপহরণের মামলা নিয়ে রহস্য
প্রকাশিত হয়েছে : ১:১৩:২৭,অপরাহ্ন ২০ জুন ২০১৬
সুরমা ডেস্কঃ সিলেটে ওসমানীনগরের শিশু জয়ী অপহরণের মামলা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন অপহৃত শিশু জয়ীর পিতা-মাতা। দফায় দফায় মামলার তদন্ত বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তারা হতাশ।
এদিকে, অপহরণ মামলার প্রধান আসামি শংকর দাসকে গ্রেফতারের পর রোববার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরুর আদালতে হাজির করা হয়। ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে আদালত তা আমলে নেননি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির আহমদ বলেন, একমাত্র সন্তান অপহরণের পর গত প্রায় তিন বছর ধরে জয়ীর পিতা-মাতা পাগলপ্রায়। মামলাটির স্বাভাবিক তদন্ত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত না হলে শিশুটির সন্ধান বা রহস্য উদ্ঘাটন সহজ হতো। তিনি জানান, মামলা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো রিমান্ড চেয়েছিল সিআইডি। আদালত আবেদন আমলে নেননি।
পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের নির্দেশনা চাওয়া হবে। মামলার তদন্তকারী সিআইডির ইন্সপেক্টর আবদুল আহাদ বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর মামলাটি অনেক রহস্যময় বলে মনে হচ্ছে। মামলার প্রধান আসামি শংকরকে গ্রেফতারের পর ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিলাম। শুনানির পর আবেদন মঞ্জুর করেননি আদালত।
অপহৃত শিশু জয়ীর পিতা স্কুল শিক্ষক সন্তোষ কুমার দেব বলেন, আমি ক্রমেই হতাশ হয়ে পড়ছি। কারণ পুলিশের পর সিআইডিকেও তদন্তের গভীরে যেতে দেয়া হচ্ছে না। নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। কারণ প্রধান আসামি শংকর জড়িত থাকার ব্যাপারে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে রবিউল। পাশাপাশি নৌকার মাঝি ও নদীঘাটের ইজারাদার এ ব্যাপারে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এরপরও স্পর্শকাতর এই মামলার তদন্ত এগোতে দেয়া হচ্ছে না।
জয়ীর মা সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাজস্ব শাখার অফিস সহকারী শর্বানী দেব তুলি বলেন, বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। কারণ আসামিরা যেভাবে চ্যালেঞ্জ করছে তাতেই বুঝা যায় অপহরণ চক্রের হাত কত লম্বা, নেটওয়ার্ক কত শক্ত।
এর আগে ৯ জুন শিশু জয়ী অপহরণ মামলার প্রধান আসামি শংকরকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২১ জুলাই সিলেট নগরীর শেখঘাট ভাঙাটিকর এলাকার বিজন বিহারী দামের বাসা থেকে নিখোঁজ হয় শিশু জয়ী। জয়ীদের মূল বাড়ি ওসমানীনগরের ইলাশপুর গ্রামে।