একাদশে অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ ২৪ জুন
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ জুন ২০১৬, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
সুরমা ডেস্ক : একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে অপেক্ষমাণ তালিকার আবেদনকারীদের জন্য পরবর্তী মেধাতালিকা আগামী ২৪ জুন প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। সোমবার (২০ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. আশফাকুস সালেহীন জানান- মেধা তালিকা থেকে ভর্তির পর শূন্য আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য অপেক্ষমানদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সরকারি-বেসরকারি কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীতদের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয় গত ১৬ জুন। তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানতে পায় তিনি কোন কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও জানতে পারছে আসনের বিপরীতে কোন শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। আসনের বিপরীতে মনোনীত শিক্ষার্থীদের ১৮-২২ জুনের মধ্যে ভর্তি হতে হবে।
মেধা তালিকা প্রকাশের সময় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছিলেন- আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ২৫-২৭ জুনের মধ্যে ভর্তি করা হবে। অবশিষ্ট আসনে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ভর্তির সময় ২৮-৩০ জুন। ক্লাস শুরু হবে ১০ জুন।বিলম্ব ফি দিয়ে ১০ থেকে ২০ জুনের মধ্যে ভর্তি হওয়া যাবে। মেধা তালিকায় শূন্য আসনের বিপরীতে ৯ লাখ ৬০ হাজারের মতো শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়। আর তিন লাখ ২০ হাজারের মতো শিক্ষার্থীকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়।
আবেদনের সময় শিক্ষার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে ভর্তি ফলের একটি এসএমএস পাবেন। সেখানে একটি পিন কোডও থাকবে।
এছাড়া ভর্তির ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) লগইন করে শিক্ষার্থীর নাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, গ্রুপ/শিফট/ভার্সন ভিত্তিক নির্বাচিত বা অপেক্ষমান মেধাক্রম ও অন্যান্য তথ্য পাওয়া যাবে।
আসনের বিপরীতে কোন শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমান তালিকা থেকে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মেধানুসারে ভর্তি করতে হবে।এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১৩ লাখ এক হাজার ৯৯ জন। আর এক লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেননি।কলেজগুলোতে ২১ লাখ ১৪ হাজার ২৫৬টি আসন আছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন- সাত লাখের বেশি আসন ফাঁকা থাকবে।
গত ১১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার পর কলেজে ভর্তিতে অনলাইন ও এসএমএসে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ২৬ মে। ঘোষণা অনুযায়ী ৯ জুন আবেদন জমা নেওয়ার সময় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১০ জুন পর্যন্ত সেই সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা।
আবেদনকারী ১৩ লাখ এক হাজার ৯৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অনলাইনে নয় লাখ ৩৭ হাজার ৯৪৭ জন এবং এসএমএসে চার লাখ পাঁচ হাজার ৮৬৮ জন আবেদন করেন। এছাড়া মোট ভর্তির আবেদন পড়ে ৪৪ লাখ ৯২ হাজার ১৪০। এর মধ্যে অনলাইনে ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৮০টি এবং এসএমএসে চার লাখ ৪২ হাজার ৩৬০টি।
টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে এসএমএসে আবেদন ফি জমা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট বা এসএমএস করে ভর্তির আবেদন করেন। অনলাইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০টি এবং এসএমএসের মাধ্যমে আরও ১০টিসহ মোট ২০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। তবে ৪৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে কেউ আবেদন করেননি। সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৯ হাজার ৮৫ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীরা আবেদন করেন। তবে ৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কেউ আবেদন করেনি।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৩৬টি, মাদ্রাসা বোর্ডে ১০টি, ঢাকা ও রাজশাহী বোর্ডে একটি করে প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে কোন আবেদন পড়েনি। ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রথম প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাতিল না করে দ্বিতীয়টিতে ভর্তি হওয়া যাবে না। শিক্ষার্থীকে ভর্তি বাতিল করতে চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে। একবার ভর্তি বাতিল করলে আর ওই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ থাকবে না। ভর্তি বাতিল করতে হবে ১৮-৩০ জুনের মধ্যে।