সিলেটে চার মাসেও উদঘাটন হয়নি মোবাশ্বির হত্যার রহস্য
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ৭:৫৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের সালিশি ব্যক্তিত্ব আব্দুল হক মোবাশ্বির হত্যাকাণ্ডের রহস্য ৪ মাসেও উদঘাটন হয়নি। ফলে অনেকটা হতাশ তার পরিবার স্বজনসহ এলাকাবাসী। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত আসামিদের আইনের আওতায় আনা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণের কাছে মঙ্গলবার স্মারকলিপি দিয়েছে হত্যাকাণ্ডের শিকার মোবাশ্বিরের পরিবার।
স্মারকলিপি প্রদানকালে নিহত মোবাশ্বিরের ছোটভাই সামছুল হক, মামলার বাদী মুহিবুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ সুরমার সিলাম শেখপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সালিশ ব্যক্তিত্ব আব্দুল হক মোবাশ্বিরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর নিহতের বড় ভাই মুহিবুল হক বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় স্থানীয় চান্দাই গ্রামে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকা পান্না বেগম নামের এক নারীকে আটক করে। গ্রেফতারের পর পান্না বেগম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
সে জবানবন্দিতে তার সহযোগীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে। অথচ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শরীরে বেশ কয়েকটি গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়; যা পূর্বপরিকল্পিত ও প্রতিহিংসামূলক হত্যাকাণ্ড বলে পরিবারের ধারণা। এছাড়া পান্নার বক্তব্যের অসামঞ্জস্য এবং অন্যান্য কারণ জনমনে নানা রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ নেপথ্যে থাকা খুনি চক্রের সন্ধান না পাওয়ায় সামছুল হক ও তার পরিবারের মধ্যে যেমন করে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি নির্বিঘ্নে চলাফেরার জন্যে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। তাই হত্যার আসল রহস্য বের করতে আসামি পান্না বেগমকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার ভাই পারভেজ ও কথিত প্রেমিক ফরহাদ, মা-বাবা, খালা-খালু ও নানিকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানানো হয়।