বালাগঞ্জে ভোটারদের শতভাগ উপস্থিতি : বিতর্কিত ইসি, সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ৩:৪৫ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
বিগত পাঁচটি বছর একটি মানুষ মৃত্যুবরণ করেনি, প্রবাসেও যায়নি এবং বেশ কয়েক বছরের ইতিহাস পাল্টে দিয়েছে শতভাগ ভোট গ্রহণ দেখিয়ে এমন আচমকা তথ্য পাওয়া গেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে। সিলেটের বালাগঞ্জে গত ১১ নভেম্বর ২য় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা সদর ইউনিয়নের একটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতির সংখ্যা নিয়ে আলোচনার তর্ক-বিতর্কের থুপে পড়েছে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস।
ফরম-ঠ-১ নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক সরবরাহকৃত গণনার ফলাফলের তালিকায় দেখা যায়, সদর ইউনিয়নের বির্ত্তুনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২হাজার ২শ ৬৯টি। নির্বাচনের ফলাফলেও দেখা হয়েছে শতভাগ উপস্থিতি অর্থাৎ ভোট কাস্ট হয়েছে ২হাজার ২শ ৬৯টি। এ নিয়ে জনমনে উপহাস-ক্ষোভের রাজ্যে পরিনত হয়েছে এনির্বাচন। এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। জন্মদিচ্ছে নতুন নতুন প্রশ্নের! এই ভোট সেন্টারের নির্বাচনের ডিউটিরত এক বিশ্বস্থ মাধ্যম ও একাধিক নাগরিকের কাছ জানা যায়, ভোট কেন্দ্রে সেদিন তেমন ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ৭০শতাংশ ভোটারদের উপস্থিতি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সচেতন নাগরিক বলেছেন, নির্বাচন কেমন স্বচ্ছ হয়েছে তা বির্ত্তুনীয়া ভোট কেন্দ্রের দিকে থাকালে বুঝা যায়। এই এলাকার অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন আবার অনেকেই প্রবাসে রয়েছেন। তাহলে কিভাবে কাঁটায় কাঁটায় শতভাগ ভোট কাষ্ট হলো ? এদিকে সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গৌরীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জালিয়াতি করে সাধারণ সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থীকে ১০ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে অমিল পাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এমন সব অভিযোগের পর সাঙ্গ হয়েছে বালাগঞ্জ ইউপি নির্বাচন।
নির্বাচনোত্তর এমন আলোচনা-সমালোচনার স্তুপে পরেছে ইউপি নির্বাচন। এব্যাপারে বির্ত্তুনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাডিং অফিসার পল্লি দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন অফিসার ফরহাদ মনসুর জানান, আমার উপর চতুর্দিক থেকে চাপসৃষ্টি করা হয়েছে। আমাকে বার বার ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে আমি ফলাফল তৈরী করেছি ভুলভ্রান্তি হওয়াটা স্বাভাবিক। ফলাফল পুনঃগণনা হলে সেই ভুলটা বের হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, নির্বাচন অফিসার ফলাফল গণনার সময় আমাকে একটু সতর্ক করলে তখনই এটির সমাধান হয়েযেতো।
এপ্রসঙ্গেঁ দেওয়ানবাজার, বালাগঞ্জ, পশ্চিম গৌরীপুর ইউপির দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সোহরাব আহমেদ কে মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।