ফের সিলেটে মৃত্যুর মিছিল
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১:৫২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনা আক্রান্ত হয় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় নতুন করে আরও ৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে মারা যাওয়া তিন জনের সবাই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এনিয়ে বিভাগে করোনাভারাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ১ হাজার ১৪০ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ৯৪৯ জন, সুনামগঞ্জে ৭২ জন, হবিগঞ্জে ৪৭ জন এবং মৌলভীবাজার জেলায় ৭২ জন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।মোট পরীক্ষার ৩.৩৯ শতাংশের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে সিলেট জেলায় শনাক্তের হার শূন্য শতাংশ, সুনামগঞ্জে ৬.১০ শতাংশ, হবিগঞ্জে ৬ শতাংশ এবং মৌলভীবাজারে ১৫.২২ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত হওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ১৯ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে হবিগঞ্জের ৫ জন এবং মৌলভীবাজার জেলার ১৪ জন। এ নিয়ে বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ হাজার ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে সিলেট জেলায় সর্বোচ্চ ৩৩ হাজার ৩৪৫ জন, সুনামগঞ্জে ৬ হাজার ২১৫ জন, হবিগঞ্জে ৬ হাজার ৫৯৬ জন ও মৌলভীবাজারে ৮ হাজার ১২ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ আরও জানায়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সিলেট জেলার হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮ জন এবং মৌলভীবাজার জেলার হাসপাতালে ১ জন রয়েছেন
এ নিয়ে বিভাগে আজ সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে ১০৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৫ জন, সুনামগঞ্জের হাসপাতালে ৯ জন, হবিগঞ্জের হাসপাতালে ৫ জন ও মৌলভীবাজারের হাসপাতালে ৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১৮৬ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থদের মধ্যে ১২০ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা। বাকিদের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার ২৯ জন, হবিগঞ্জ জেলার ১৭ জন ও মৌলভীবাজার জেলার ২০ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিভাগে এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৩৩৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৩০ হাজার ৯১৩ জন, সুনামগঞ্জে ৫ হাজার ৯৬৪ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৫৮০ জন ও মৌলভীবাজারে ৬ হাজার ৮৮০ জন সুস্থ হয়েছেন।
এনএইচ/আরসি-০৭