বালাগঞ্জে উদ্বোধনের আগেই গার্ডওয়াল ধস: যা হওয়ার তা হয়ে গেছে- উপজেলা প্রকৌশলী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুলাই ২০২১, ১:৫৭ অপরাহ্ণ
জাগির হোসেন, বালাগঞ্জ:
সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গৌরীপুরের আমজুর গ্রামের বহুল পরিচিত সড়ক, যা ইউনিয়নের হাঁড়িয়ার গাঁও,পশ্চিম মুসলিমাবাদ,পূর্ব মুসলিমাবাদ সহ দশটি গ্রামের মানুষ এ রাস্তাটি ব্যবহার করে। ওই রাস্তাটি রক্ষার্থে ২০২০/২০২১ অর্থবছরের উপজেলা পরিষদের এডিপি’র উন্নয়ন তহবিল খ্যাত হতে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ পিআইসি’র মাধ্যমে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য বা প্রজেক্ট কমিটির সভাপতি মাধ্যমে গার্ডওয়াল করা হয়। কাজটি সম্পন্ন হওয়ার ১মাস যেতে না যেতেই ধসে পরে।
কিন্তু পরিতাপের বিষয় উদ্বোধনের আগেই গার্ডওয়ালটি ধসে পড়ে! এটি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় স্যোসাল মিডিয়া।স্থানীয়রা বলছেন, কাজের মান অনুন্নত। গার্ডওয়ালের কাজ শেষ হওয়ার পর পরই মাটি ফেলা হয় যাঁর কারণে মাটির ভারে ওয়ালটি ধসে পরে। অনেকেই বলছেন, এধরনের কাজে উপজেলা প্রকৌশলীর তদারকির গাফিলতির কারণে গার্ডওয়াল স্থাপন করলেও এলাকাবাসীর আগের দুঃর্ভোগ থেকেই গেলো।
মাটিভরাটের ব্যাপারে প্রজেক্ট কমিটির সভাপতি আমাকে অবগত করতে পারতেন উপজেলা প্রকৌশলীর এমন অভিযোগের জবাবে প্রজেক্ট কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য হাবিব তালুকদার বলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ান না। প্রকৌশলী যেরকম স্টিমিট দিয়েছে, আমি সেরকমই কাজ সম্পন্ন করেছি। তবে নতুন গার্ডওয়ালের উপর মাটি ফেলা হয়েছে এবং বর্ষার পানি ওই স্থানে বেশী থাকায় স্রোতের টানে নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ওয়াল ধসে পরেছে।
উপজেলা প্রকৌশলীর তদারকির গাফিলতির কারণে গার্ডওয়াল ধসে পড়েছে স্থানীয়দের এমন অভিযোগের প্রক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলী এসআরএমজি কিবরিয়া বলেন, আমার অফিসে জনবল কম, দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করানো যায় না। মাটিভরাটের ব্যাপারে প্রজেক্ট কমিটির সভাপতি আমাকে অবগত করতে পারতেন। যা হওয়ার তা হয়েগেছে। কাজটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় সেই প্রক্রিয়া করছি।
এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মফুর বলেন, আমজুর রাস্তার গার্ডওয়াল যে কমিটির মাধ্যমে করা হয়েছে তাঁদেরকে কাজটি নিজ অর্থায়নে পুঃনির্মাণ করে দিতে বলা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, আট মাস আগে এলাকাবাসী সম্মিলিত দাবির প্রেক্ষিতে রাস্তা রক্ষাকারক গার্ডওয়ালের জন্য বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করলে, তা মঞ্জুর হয়। কাজটি সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা পরিষদের এডিপির হতে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।