বালাগঞ্জে জনসমর্থন ও প্রচারনায় একধাপ এগিয়ে নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুলাই ২০২১, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ
জাগির হোসেন (জাকির), বালাগঞ্জ:
বালাগঞ্জ উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের পথসভা ও উঠান বৈঠক গুলো যেনো জনসভায় পরিনত হচ্ছে। দিনরাত ভর এগুলো নিয়ে ব্যস্ত ওয়ার্ড থেকে শুরু করে উপজেলার নেতৃবৃন্দ। জনমনে এ যেনো নতুন এক আশার সঞ্চয়। হাবিবুর রহমান হাবিবের মুখের একটি বাক্য শুনার জন্যে মানুষ মৃত্যুপুরী করোনা কে তোয়াক্কা করে মানুষের ঢল পড়েছে পথসভায় ও গণসংযোগে। এতিম হাবিবের মুখে মা ও বাবা ডাক শুনে মনে টাই দেওয়ার ইচ্ছা জাগে অত্রএলাকার মানুষের। সেদিন এক জনসভায় হাবিব নিজের মৃত মা- বাবার কথা মনে করে ভাষনে কাঁদলেন, কাঁদালেন সকলকে। বলছি সিলেট ৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থীর কথা।
বালাগঞ্জে যদিও গ্রুপিং রাজনীতি রয়েছে। কিন্তু এই উপনির্বাচনে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা এটা যেনো নিজেদের নির্বাচনের মতো আলিঙ্গন করছেন। এমনও জানা যায়, হাবিবুর রহমান হাবিব রাজনীতিতে বা বয়সে আমাদের ছোট ভাইয়ের মতো। তাঁর বিজয় সুনিশ্চিত করতে কোনো গ্রুপিং নয় বরং বড় ভাই হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আমাদের ভাইকে সংসদে নিয়ে পৌঁছানোর।বালাগঞ্জে উপজেলা, ইউপি ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ সহ অজ্ঞ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যেনো মাঠ ছাড়ছেন। নির্বাচনটা যদিও উপনির্বাচন কিন্তু জনগণের উচ্ছ্বাস ও ভালোবাসা এবং দলীয় নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভীড়ে সরকার পরিবর্তন তথা জাতীয় সংসদ নির্বাচন মনে হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি মহল্লায় মহল্লায় উঠান বৈঠকে নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড গুলো তুলে ধরছেন মানুষের সামনে প্রতিনিয়ত।
অনুৃসন্ধানে দেখা যায়, অনেক প্রার্থী মিথ্যাপরোচনা দিয়ে মানুষকে পথসভায় হাজির করলেও পড়ে খারাপ ভাষায় গাল-মন্দ করে বেড়িয়ে যান। জাতির দুর্যোগময় দুঃসময়ে চাল দেবার নাম করে অর্ধশতাধিক মানুষের হাজিরা দেখালেও পরবর্তীতে গরীব, অসহায়দের সাথে প্রতারণা করা হয়। অন্য অনুৃসন্ধানে দেখা যায় নৌকার প্রার্থী হাবিব বলেন, মিথ্যা পরোচনা দিয়ে কাউকে ঠকাতে চাইনা। আপনারা আমার বাবা মা ও ভাই বোনের মতো। কোনো সন্তান তাঁর মাকে বাবাকে ঠকিয়ে, কোনো ভাই তাঁর ভাই বোনকে ঠকিয়ে ভালো কিছু আসা করতে পারে না। এজন্যে আমি মিথ্যা আসা দিয়ে সংসদে যেতে যাইনা।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের মিত্রদল জাপা বালাগঞ্জ নিরব ভূমিকা রাখলেও সমীক্ষায় দেখা যায় যদিও মহাজোট অংশ নয় বিএনপি। তবে গোপনে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী কে যদিও বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃার করা হয়েছে। তবে দলের আনুগত্য না মেনে বিএনপির নেতাকর্মীরা কাজ করছেন শফি চৌধুরীর জন্য।
উল্লেখ্য, দক্ষিন সুরমায় বিএনপির দুইজন ও ফেঞ্চুগঞ্জে এক জন নেতাকর্মীকে সাংগঠনিক ভাবে শোকজ করা হয়েছে।