আব্দুস সামাদ আজাদের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে মফুর এর বিনম্র শ্রদ্ধা ও স্মৃতিময় কিছু কথা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ এপ্রিল ২০২১, ১০:৩৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, ভাষা সৈনিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান মফুর।
একবার্তায় জাতীয় নেতা, রাজনীতির আধ্যাত্বিক সম্রাট আব্দুস সামাদ আজাদ এর তৎকালীন সময়ের কিছু স্মৃতিকথা বলছেন মোস্তাকুর রহমান:
আজ প্রিয় জননেতা সামাদ আজাদ সাহেবের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি মরহুমকে যেন জান্নাতের সুউচ্চ স্থান দান করেন। আমার স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনের অনুপ্রেরণার জায়গার নাম সামাদ আজাদ সাহেব। আমার আজও মনে পরে সেই কথা, শেরপুর সমাবেশ। সামাদ আজাদ সাহেবের ফোন, মোস্তাক একটা ঢেউ দেখবো (মিছিলের বহর)। এক সমাবেশে সামাদ সাহেব বলেছিলেন, মোস্তাক দেরী করে এসেছো, কর্মীও টিক আছে, সাংগঠনিক ভাবে বালাগঞ্জ পুরো টিকটাক, কিন্তু মন তো অন্য কথা বলছে, দেয়াল ভেঙে যাবে দেখছি।
মফুর আরও বলেন, কম বয়স থেকে এই মহান নেতার সাথে থাকার সুযোগ পেয়ে ছিলাম বলে নিজেকে গর্ববোধ করি। এই প্রশিক্ষকের দূরদর্শিতা এমনও ছিল নিজে অবলোকন করতে পেরেছি, ডিএনএ বা আএনএ পরীক্ষা ছাড়াই বলেদিতে সক্ষম হতেন কোনটা মীরজাফর আর কোনটা খাঁটি কর্মী। মনে পরে আরও কিছু স্মৃতিগুচ্ছ, লিডার রাতের ভোজন করতেন তিনির সুয়ার ঘরে। খেতে বসে এক এক করে ডেকে নিয়ে একসাথে কতরাত ভোজনে শরিক হয়েছি সংখ্যাটা বলে কৃপনতা করতে চাইনা। বড় বড় নেতাকর্মীরা বসে আছেন তিনির শুয়ার ঘরে, আমাকে বলতেন মোস্তাক কোথায় ? এদিকে আসো ওই খাটের কিনারায় বস। বসে থাকতাম চুপ করে। টিক তাহাজ্জুদের আগে সবাইকে বলতেন যাও ঘুমাও।
তিনির সব কথার মাহাত্ম্যকথা না বুঝলে প্রয়াত নেতা ইফতেখার হোসেন শামীম ভাই, আ.ন.ম শফিকুল হক ভাইকে জিঙ্গেস করতাম, এই কথা দিয়ে কি বুঝালেন। এজন্যে আ.ন.ম শফিকুল ভাইকে ছোট সামাদ বলে আখ্যা দিতেন সামাদ আজাদ।
প্রসঙ্গত, আব্দুস সামাদ আাজাদ ১৯২২ সালের ১৫ জানুয়ারি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ভুরাখালি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।