মৌলভীবাজারে বোরোর বাম্পার ফলনঃ দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান কাটার পরামর্শ কৃষি বিভাগের
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ এপ্রিল ২০২১, ১০:৩২ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক :
মৌলভীবাজার জেলার চারটি উপজেলা রাজনগর,কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে হাকালুকি হাওরে এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। বড় কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগের আগেই এক সপ্তাহ ধরে কৃষকরা বোরো ধান কাটা শুরু করেছে। আগাম বন্যা ও শিলাবৃষ্টিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের আশংকা দ্রæত সময়ের মধ্যে ধান কাটা শেষ করতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে।
সোমবার ১৯ এপ্রিল হাওরের বিভিন্ন বোরো ধানের মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকদের ধান কাটায় উদ্বুদ্ধ করেছেন বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবল সরকার প্রমুখ। ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান ও জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জেলার বিভিন্ন হাওর পরিদর্শন করে কৃষকদের দ্রæত সময়ে বোরো ধান কাটতে পরামর্শ দিয়েছেন।
বড়লেখা উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ৪ হাজার ৯শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে। ধানের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ হাজার মেট্টিক টন। সিংহভাগ বোরো আবাদ হয়েছে হাকালুকি হাওরপাড়ের তালিমপুর, বর্ণি ও সুজানগর ইউনিয়ন এলাকায়।
আবহাওয়া অনুকুল থাকার কারণে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেছেন। হাকালুকি পাড়ের তালিমপুর ইউনিয়নের দশনা ব্রীজ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে কৃষকরা ধান কাটছেন। কৃষক নুর হোসেন, পাখি মিয়া, রমাকান্ত বিশ্বাস, নুরুল ইসলাম জানান, গত ৫ বছরের মধ্যে এবার তাদের বোরোর ফলন চেয়ে ভাল হয়েছে। ২৯ ব্রি ধান কাটা শুরু করেছেন। প্রথম দিকে খরায় কিছুটা ক্ষতি করলেও শেষ দিকের বৃষ্টিতে ধানের বেশ উপকার হয়েছে।
দেশের অন্যান্য স্থানে সাম্প্রতিক গরম হাওয়ায় ধান নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও হাকালুকি হাওরপাড়ের বোরো ধান নষ্ট হয়নি। চিটার পরিমানও কম। সোমবার বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, উপজেলা কৃষি অফিসার দেবল সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাসেদুজ্জামান বিন হাফিজ, তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস প্রমুখ ক্ষেতে গিয়ে তাদেরকে দ্রæত ধান কাটা সম্পন্ন করতে উদ্বুদ করেছেন
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ দেবল সরকার জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ভাল ফলন হওয়ায় কৃষকরা অত্যন্ত খুশি। দূর্যোগের আশংকা থাকায় মাঠে গিয়ে কৃষকদের দ্রæত ধান কাটা শেষ করতে পরামর্শ দিয়েছি।