সিলেটে চার দেয়ালে বন্দি মধ্যবিত্তদের বোবাকান্না
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ এপ্রিল ২০২১, ১০:৪৩ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন নানা পেশার মানুষ। অভাব অনটন দেখা দিয়েছে মধ্যবিত্ত মানুষের। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্য চেয়ে নিচ্ছেন। তবে সংসারে অভাব দেখা দিলেও কাউকে বলতে পারছেন না আবার সইতেও পারছেনা মধ্যবিত্তের মানুষেরা। এতে অসহায় হয়ে চার দেয়ালে বন্দি হয়ে পড়েছে মধ্যবিত্তদের বোবাকান্না।
চলমান লকডাউনে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সিলেটে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তা-ঘাটও জনশূন্য। থমকে দাঁড়িয়েছে মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রা ও আয় রোজগার। একদিকে বাড়ছে জীবনযাত্রার খরচ। অন্যদিকে কারো চাকরি যাচ্ছে, কারো কমছে বেতন। অনেকের সংসার অচল হয়ে পড়লেও তারা কারও কাছে সাহায্য চাইতে পারছেন না। তাদের নিয়ে কারও ভাবনাও নেই।
এই ছুটির মধ্যে গরিব, অসহায়-দুস্থদের মাঝে সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয় কিন্তু মধ্যবিত্ত ও সীমিত আয়ের লোকদের কোনো সহায়তা করা হচ্ছে না। তাছাড়া এই শ্রেণির লোকজন কারো কাছে অভাব-অনটনের কথাও মুখ ফুটে বলতে পারছে না। অন্যদিকে অভাব-অনটনের তাড়নায় ঋণের বোঝা বাড়ছে। একপর্যায়ে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এতে মধ্যবিত্ত ও সীমিত আয়ের লোকজন না পারছে অভাব-অনটনের কথা বলতে, না পারছে কোনো সহায়তা নিতে। যার ফলে ছুটির দিন যত গড়াচ্ছে মধ্যবিত্তদের বোবাকান্না তত বাড়ছে।
তবে হাঁটা-চলা কিংবা বেশভূষায়, বুকের ভেতরে থাকা চাপা কষ্ট-যন্ত্রণার ছাপ নেই। থেকে থাকলেও ঢাকা পড়ছে মাস্কের আড়ালে। মধ্যবিত্তের এখন একটাই চিন্তা। কী করবেন? কোথায় যাবেন? কিভাবে চলবে সংসার খরচ? উত্তর না পেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।
কয়েকটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের অনেকের ঘরে এখন খাবার নেই, ত্রাণ যারা দিচ্ছে অধিকাংশ ত্রাণদাতারা ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় তারা ত্রাণ নিতে যেতে পারছেন না লোকলজ্জার ভয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবার কৃষক ও স্বল্প পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তাদের অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
সিলেটের কাপড় ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, কাপড়ের দোকানটি একেবারে বন্ধ রয়েছে, হাতে যা নগদ অর্থ ছিল তা সবই শেষ। দোকনের মাল রয়েছে কিন্তু টাকা নেই, কীভাবে সংসার চলবে?