কুলাউড়া ও রাজনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ২২ টি মামলায় ১০ টাকা জরিমানা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ এপ্রিল ২০২১, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও রাজনগরে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও সরকারি আদেশ অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে ২৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ১০ হাজার ২শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, চলমান করােনা পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে রাজনগরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঊর্মি রায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। উপজেলার মুন্সিবাজার, আজাদের বাজার, চৌধুরী বাজার, রাজনগর বাজার সহ আশেপাশের এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল।
এদিকে কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী। ১৫ এপ্রিল দুপুরে শহরের দক্ষিণবাজার, মাগুরা এলাকায় অভিযানে করেন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী।
দোকানপাট খোলা রাখায় তাৎক্ষনিক ৫টি মামলায় ৩ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করে তা আদায় হয়। নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবসায়ীকে সতর্ক করেন এবং ভবিষ্যতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থবিধি মানতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা প্রদান করেন। আদালতের কাজে সহায়তা করেন কুলাউড়া থানার পুলিশ।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, অন্য যে কোন এলাকা থেকে কুলাউড়ার মানুষ অনেকটা স্বতঃস্ফুর্তভাবে লকডাউন মানছেন। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে পরামর্শ প্রদান করছি।
অপর দিকে,রাজনগরে অভিযানে সহযোগিতা করেন র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্য। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এবং বিকেল ৩ টার পরেও দোকান খোলা রাখায় ২২ টি মামলা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে এসব ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে ৬ হাজার ৭ শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াঙ্কা পাল বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে জীবন রক্ষায় সবার দায়বদ্ধতা রয়েছে। সরকারের নির্দেশনা মানলে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে আবারও সবাই অবাধে ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন। আমরা চাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সবাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রখালা রাখুন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আর কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।