লকডাউন : সিলেটে টোকা দিলে দোকান খুলে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ এপ্রিল ২০২১, ১০:৪৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
করোনা মোকাবেলায় সিলেটসহ সারাদেশে চলছে সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন। পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে বেশ কঠোর ভূমিকায়। যানবাহন আটক জরিমানা চলছে। চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানও। তবে এত কিছুর পরেও কিছু কিছু মানুষকে সামাল দেয়া কঠিন। বিশেষ করে ছোটখাটো ব্যবসায়ী ও তাদের কাষ্টমারদের। তারা ঠিকই নানা উপায়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে যাচ্ছেন।
লকডাউন মানতে গিয়ে দোকানপাট তারা বন্ধ রাখছেন ঠিকই। তবে নিজেদের কাস্টমারদের বিশেষ সিগন্যালে তারা ঠিকই সাঁড়া দিচ্ছেন। এই সিগন্যাল দেয়া হচ্ছে নানাভাবে। কেউ কেউ মোবাইলে মিস কল দিচ্ছেন বা কল দিয়ে বলে দিচ্ছেন- আমার এই এই জিনিস চাই।
ব্যবসায়ী সব রেডি রাখছেন। দোকানের কাছে গিয়ে কাস্টমার হয় আরেকটা মিস কল দিচ্ছেন বা সাঁটারে টোকা দিচ্ছেন- ব্যাস! কাজ হয়ে যাচ্ছে। সাঁটারের নিচ দিয়ে বা একটা অংশ খুলে কাস্টমারের হাতে জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নিজের পাওনাটাও বুঝে নিচ্ছেন ক্রেতা।
গেলো বছরের দীর্ঘ লকডাউনে এমনটা দেখা গেছে দেদার। এবারও তা শুরু হয়েছে। নগরীর কিনব্রিজ মোড়ের সুরমা মার্কেট, তালতলা ভিআইপি রোড, শেখঘাট, মেডিকেল রোড, বাগবাড়ি, মদিনা মার্কেট, রিকাবিবাজার, সুবিদবাজার, শাহী ঈদগাহ, দর্শনদেউড়ি, আম্বরখানা, মিরাবাজার, শিবগঞ্জ, টিলাগড়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে যেমন এ প্রক্রিয়ায় চলছে বাণিজ্য, তেমনি চলছে পড়ামহল্লার ভেতরেও। অবশ্য পাড়ার ভেতরের কিছু কিছু স্থানে দোকানপাট তেমন একটা বন্ধ রাখাই হচ্ছেনা।
আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে একটু সামনে এগিয়ে হাতের ডান দিকে একাধিক মোদি দোকান। এসব দোকান প্রায়ই খোলা থাকে। তবে পুলিশ দেখলে দমাদম সাটার নামিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তবু ব্যবসা থেমে থাকেনা।
কাষ্টমাররা গিয়ে সাঁটারে হাল্কা টোকা দিলেই বিশেষ ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। নিজেদের পাওনাও বুঝে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
শহরজুড়েই চলছে এই বিশেষ পদ্ধতির ব্যবসা। এ ব্যাপারে আম্বরখানা এলাকার এক ব্যবসায়ী পরিচয় গোপন রাখার স্বার্থে বলেন, দোকান নিয়মিত খুলতে না পারার খুব খারাপ অবস্থায় পড়েছি। বউ-বাচ্চা নিয়ে খেতে হবেতো? না খেয়ে মারা যাবো?
তিনি বলেন, পেটের টানে ঝুঁকি নিয়ে দোকান খুলতে হচ্ছে। ব্যবসা টুকটাক যা হচ্ছে, এতে সংসার চলেনা। তবে একটু নুনভাত খাওয়া যাচ্ছে।
সূত্র: সিলেট প্রতিদিন