করোনায় সিলেটে প্রথম মৃত্যুর একবছর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ এপ্রিল ২০২১, ২:৫৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল সিলেটের মানুষজনকে ঘুম থেকে জেগেই শুনতে হয়েছিলো একটি দুঃসংবাদ। ১৫ এপ্রিল ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারি অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধিন ছিলেন তিনি। সিলেট বিভাগের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী প্রথম ব্যক্তিও তিানি। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দেশের প্রথম চিকিৎসকও মঈন উদ্দিন। এছাড়া সিলেটে করোনায় আক্রান্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তিও তিনি।
ডা. মঈনের পর গত একবছরে সিলেট বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০৮ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ২৩৮ জন, সুনামগঞ্জে ২৬ জন, হবিগঞ্জে ১৮ জন এবং মৌলভীবাজারের ২৬ জন।
আর বিভাগে এ পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত) করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯ হাজার ১৯০ জনের। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১২ হাজার ১৪৪ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৬৫৬ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ২ হাজার ২০৫ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ১৮৫ জন।
আর দেশে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৯ জন চিকিৎসক।
গত বছরের ৫ এপ্রিল সিলেটে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগীর সন্ধান মেলে। আত্রান্ত হওয়া ব্যক্তি পেশায় চিকিৎসক। তিনি ডা. মঈন উদ্দীন। প্রথমে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেন ডা মঈন। এরপর অবস্থার ৭ এপ্রিল রাতে তাকে নগরের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ৮ এপ্রিল উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৫ এপ্রিল ভোরে সেখানেই মারা যান।
ডা. মঈনের পরিবার অভিযোগ করেছিলেন, সিলেটে আইসিইউ চেয়েও পাননি ডা. মঈন। যদিও সংশ্লিস্টরা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।
ডা. মঈনের মৃত্যুর পর দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকদের মধ্যেও ক্ষোভ ও আতঙ্ক দেখা দেয়। তার মৃত্যুর সাথেসাথেই সরকারের পক্ষ থেকে পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। যা ইতোমধ্যে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডা. মঈন উদ্দিন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ছিলেন। নগরের সুবহানিঘাটে ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন।
তিনি সিলেটের সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিদ্দিক আলীর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রীও চিকিৎসক।