রোজা ও সর্বাত্মক লকডাউনে জনশূন্য বালাগঞ্জ, দুর্ভোগে কনের স্বজনরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ এপ্রিল ২০২১, ৪:৫১ অপরাহ্ণ
জাগির হোসেন, বালাগঞ্জ:
বিশ্বঘাতক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন শুরুর প্রথম দিনে পুরোপুরি জনশূন্য রয়েছে সিলেটের বালাগঞ্জ। নগর ও আন্ত:জেলা সড়ক মহাসড়কে যেমন নেই কোনো যানবাহন তেমনি বালাগঞ্জে। ঔষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় (কাঁচামাল, মাছ, রেস্টুরেন্ট) দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে, দুর্ভোগে পড়েছেন নতুন-পুরানো কনের স্বজনেরা। পুরোনো রীতি অনুযায়ী রোজার প্রথম দিনে- সর্বাত্মক লকডাউনে গাড়ি নেই, খেয়া নেই দেশ সংকটে শত কষ্টের মধ্যে থেকেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দেওয়া লাগছে মেয়ে বা বোনের বাড়িতে ইফতার।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে লকডাউনের শুরু থেকে দুপুর অবধি বালাগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। তবে বিকেল ৩টার পর বেশ কিছুসংখ্যক লোকের আনাগোনা রয়েছে।
সকাল থেকে বালাগঞ্জ সদরের ব্যস্ততম বাসষ্টেন্ড, বাজার, বালাগঞ্জ-তাজপুর রোড, বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ রোড ও উপজেলা, নবীনগর, হাসামপুর এলাকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে পুরোপুরি জনশূন্য নগরীর চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। সরকারের আহ্বানে জনসাধারণ এখন গৃহ বন্দি।
এদিকে রোজা ও সর্বাত্মক লকডাউনে গ্রামের রাস্তাঘাটে নেই কোনো যানবাহন, নেই জনমানুষের চলাচল। দীর্ঘ সময় পর পর কখনো আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স কিংবা জরুরি খাদ্যপণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায়। দ্বিতীয়দফা কঠোর লকডাউনে জনশূন্য ও যান শূন্য এক অচেনা এলাকায় পরিণত হয়েছে বালাগঞ্জ।
এছাড়া অতি প্রয়োজনে যারা মোটর সাইকেল, রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশায় বের হচ্ছেন তারা পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ছেন। ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাচ্ছে পুলিশ এমনকি মুভমেন্ট পাস দেখাতে হচ্ছে পুলিশ কে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হয়েছেন মনে করলে পুলিশ যানবাহন থেকে নামিয়ে দিচ্ছে যাত্রী। সংশ্লিষ্ট যানবাহনের বিরুদ্ধেও আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
এ সময় মাঠে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, করোনা থেকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় মাঠে থেকে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। সাধারণ মানুষ যাতে লকডাউনে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হয় সে ব্যাপারে কঠোর ভাবে সতর্ক রয়েছে পুলিশ।
তারা আরও জানান জরুরি সেবার আওতাভুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। সাধারণ মানুষজনও রাস্তায় নেই। লকডাউন অমান্য করে এখন পর্যন্ত কাউকে বাসার বাইরে বের হতে দেখা যায়নি।