বালাগঞ্জে এলজিইডি অফিসে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মারধর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ এপ্রিল ২০২১, ২:২২ অপরাহ্ণ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের ইলেকট্রিকশিয়ান মো. মুহিদুল ইসলাম ও পাশ্ববর্তী ওসমানীনগর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের এক কর্মচারী নিয়ে নিজ অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী মো. গোলাম হোসেনের সাথে বাকবিতণ্ডার জেরে একে ওপরের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে বাম কাঁধের জখমিতে রক্তক্ষরণ হয়ে আহত হোন গোলাম হোসেন।
হামলায় আহতবস্থায় চতুর্থশ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. দুলাল মিয়া ও শাহ আলম গোলাম হোসেনকে বালাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন মেডিকেল অফিসার সাকিব আব্দুল্লাহ। জানা যায়, গতকাল সোমবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৮টায় উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কে একটি কাগজ ও গাড়িভাড়া বাবদ ২শ টাকা দিয়ে আগামী কাল সিলেট যেতে বলেন।
প্রকৌশলী চলে যাবার পর কাগজটি নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে মুহিদুল ও সদ্য বদলি হওয়া ওসমানী নগর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের সার্ভেয়ার হোসেন মজুমদার মিলে গোলাম হোসেন কে এলোপাতাড়ি খিল-ঘুশি দিয়ে দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলায় নামিয়ে ইট দিয়ে আঘাত করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ শেষে চিৎকার শুনি, এসে এই মারামারি দেখে আমরা ঠেকানোর চেষ্টা করি।
সভাপতি দুলাল মিয়া বলেন, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। উপজেলা প্রকৌশলীকে গোলাম হোসেনের শারীরিক অবস্থা দেখাতে গেলে তিনির বাসায় গিয়ে মুহিদুল ও হোসেন মজুমদার কে দেখা যায়। দুঃখ জনক হলেও সত্য গোলাম হোসেন কে গাঁড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন এবং বলেন অফিসিয়াল বিষয় অফিসে মীমাংসা হবে।
এব্যাপারে ইলেক্টিকশিয়ান মুহিদুল ইসলাম বলেন, বাকবিতণ্ডার জেরে তুই তুকারি শুরু করেন গোলাম হোসেন। এর এক পর্যায়ে আমার উপরে হামলা চালালে প্রাণ রক্ষার জন্য তাঁর কাঁধে কামড় দেই। হোসেন মজুমদার বালাগঞ্জে কর্মরত ছিলেন বদলি হওয়ার আগে। তাঁর কিছু কাগজপত্রাদি গোচানোর জন্য এখানে আসেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আরএস কিবরিয়া বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমার উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি অবগত করেছি। কোভিড ও পারিবারিক কারণে লোক ঝড়ো হয়ে গেছে দেখে উভয়কেই অফিসে যেতে বলি। ইলেক্ট্রিশিয়ান হয়ে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালনের বিষয়টির ব্যাপারে বলেন, এখানে অফিস সহকারী বা কম্পিউটার অপারেটর পদ শূন্য থাকায় মুহিদুল কাজ বুঝেন তাই তিনি করেন।
বিষয়টি অবগত হয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, তাঁদের উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষ আছেন। তাঁরা ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে উপজেলা প্রশাসন দেখবে।