সিলেটে ব্যাংক কর্মকর্তা হত্যা মামলার প্রধান আসামির আত্মসমর্পণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:৩০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি অটোরিকশা চালক নোমান হাসনু সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
বুধবার সকালে শ্রমিক নেতারা হাসনুকে ঢাকা থেকে নিয়ে এসে আদালতে নিয়ে আসেন।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, আসামি আদালতে নিজে এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক সাইফুর রহমান আবেদন নামঞ্জুর করেন। তবে এ সময় বাদী পক্ষের কোনো আইনজীবী বা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত না থাকায় আসামির রিমান্ড আবেদন করা হয়নি। তবে শুনানির পর আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সিএনজি অটোরিকশা চালক নোমান ও তার সহযোগীরা। পরে হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরদিন নিহতের ভাই বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় আন্দোলনে নামেন সিলেটে তার সহকর্মী ব্যাংকার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। গতকাল মঙ্গলবার সারাদিন সিলেটের বেশ কিছু স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে আসামিকে গ্রেফতারের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন তারা।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি এসএম আবু ফরহাদ বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি অটোরিকশা চালককে ধরার জন্য প্রতিনিয়তই অভিযান চালিয়েছি। এমনকি শ্রমিক নেতাদের ওপরেও চাপ সৃষ্টি করেছি। পরবর্তীতে শ্রমিক নেতারা তাকে নিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছেন। তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।
এদিকে, ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ হত্যাকাণ্ডে নিন্দা জানিয়ে সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে যাত্রী অধিকার পরিষদ, সিলেট। উক্ত মানববন্ধনে তারা পাঁচটি দাবি উত্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো- গণ পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারা যাত্রীদের সঙ্গে অসসদাচরণ ও হয়রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা, মওদুদ আহমদের পরিবারকে আর্থিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা, ভাড়ার তালিকা একটি গণপরিবহণে থাকার ব্যবস্থা করা, ভাড়া নির্ধারণে সাধারণ যাত্রীদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেয়া এবং প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কলেজ শিক্ষক পরিষদ নেতা জ্যোতিষ মজুমদার, যাত্রী অধিকার পরিষদ নেতা সুব্রত রায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইমাদ উদ্দিন, শিক্ষক ইমরান আহমদ প্রমুখ।