হবিগঞ্জে ভূমিহীনদের ঘর বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১৫:৩১,অপরাহ্ন ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
হবিগঞ্জে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া দরিদ্র ও ভূমিহীন পরিবারের ঘর বরাদ্দ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরাদ্দ দেওয়া ৫৯টি ঘরের মধ্যে ৩১টি পরিবারের অবস্থা সচ্ছল। তাদের জমি, বসতভিটা ও ঘর রয়েছে। প্রবাসী ও সচ্ছল অনেক পরিবারও পেয়েছেন দরিদ্রদের জন্য তৈরি ঘর। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, সচ্ছল কেউ বরাদ্দ পেয়ে থাকলে সেগুলো বাতিল করা হবে।
বিশাল বাড়ির মালিক মামুদপুর গ্রামের রতন তালুকদার। প্রাচীন জমিদার বাড়ির সামনে রয়েছে বিশাল সবজির বাগান। আজমিরিগঞ্জের কাকাইলছেও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক ভুইয়ার সঙ্গে সখ্য থাকায় তিনি পেয়েছেন ভূমিহীনদের জন্য তৈরি ঘর। কাকাইলছেও বাজারে লাখ টাকার ছাদির মিয়াও পেয়েছেন দরিদ্রদের জন্য তৈরি ঘর। অথচ যারা প্রকৃত ভূমিহীন তাদের বেশির ভাগই পাননি মাথা গোঁজার ঠাঁই। ক্ষুব্ধ ভূমিহীনদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান নিজেদের লোক ও যাদের টাকা-পয়সা আছে তাদেরকেই ঘর দেওয়া হয়েছে।
আজমিরিগঞ্জের কাকাইলছেও ইউপির ৫নং ওয়ার্ড সদস্য আজিজুর রহমান সওদাগর জানান, যাদের ঘর আছে, বাড়ি আছে, লাখ লাখ টাকার মালিক, চেয়ারম্যান নিজের সেসব আত্মীয়স্বজনের নামে দিয়েছেন।
একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য শহিদ মিয়া বলেন, রসুলপুরের লোকজন আমাদের প্রতি ক্ষিপ্ত এবং চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষিপ্ত।
ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক ভুইয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউএনও, পিআইও এসেছেন। তারা ঠিক করবেন। আমাকে বলেছে, আপনারা দস্তখত দিলেই হইছে। আমাদের সঙ্গে নিছেও না। যে জিনিসটা হইছে, আমার ধারণা, সঠিকই হইছে। এর মধ্যে যদি ভুল করে কেউ দিয়ে থাকে সেটা আল্লাহ জানে। আমি জানি না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান বলেন, কেউ কেউ যদি তথ্য গোপন করে দেয়। এতে কিন্তু যদি স্থানীয় লোকজন হেল্প না করে তাহলে সঠিক তথ্য নাও পেতে পারি।
অভিযোগগুলো খতিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান বলেন, যাদের জমি আছে, ঘর আছে, বাড়ি আছে এমন কারও নাম তালিকাভুক্ত হয়ে থাকলে অবশ্যই তা বাতিল হবে।
আজমিরিগঞ্জ উপজেলায় ৮৮ পরিবারের জন্য তৈরি হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বসতঘর। এর মধ্যে মাত্র ১০ পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।