সিলেটে বর্ণিল আয়োজনে ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ৫:৪২ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতের ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বর্ণিল আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার সিলেটে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনের সহকারী হাইকমিশন অফিস সিলেটের উদ্যোগে রাতে নগরীর দরগা গেইট এলাকায় একটি অভিজাত হোটেলে মিট টুগেদার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত সন্মানীত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শোয়াল ও তার সহধর্মিনী নীতা জয়শোয়াল।
সহকারী হাই কমিশনার অফিস সিলেটের সেকেন্ড সেক্রেটারী টি জি রমেশ এর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্যে সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়শোয়াল বলেন, বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ বন্ধুত্বের চরম শিখরে রয়েছে। সম্প্রতি ভারতের জনগণের পক্ষে বাংলাদেশকে দেয়া বৈশ্বিক মহামারি করোনার টিকা উপহার হিসেবে দেয়া এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন,দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, পড়ালেখায় শিক্ষাবৃত্তি, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বৃত্তি, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে বর্ডার হাট চালুর বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো: মতিয়ার রহমান হাওলাদার, লিডিং ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বনমালী ভৌমিক, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ পিপিএম, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল হক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবা- উর রহমান, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকরামুল কবির, সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ ও তাপস দাস পুরকায়স্থ, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ও দৈনিক সিলেটের ডাক এর প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বিশ^াস সমর ও মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সাংবাদিক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, দৈনিক আমাদের নতুন সময় মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি ও মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি স্বপন কুমার দেব রতন, বিটিভি’র সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আইনুল ইসলাম বাবলু ও বিটিভি’র সিলেট প্রতিনিধি মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা, চ্যানেল-এস এর ব্যুরো চিফ মঈন উদ্দিন মনজু, সিলেট চেম্বারের সহ-সভাপতি চন্দন সাহা, রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী চন্দ্রনাথা মহানন্দজী, ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ নবদ্বীপ দ্বিজ ব্রহ্মচারী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক রাহুল ভট্টাচার্য, সহকারী অধ্যাপক প্রণব কান্তি দেব, এডভোকেট দীলিপ কুমার দাস চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা বিজিত চৌধুরী ও এডভোকেট রনজিত সরকার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সুব্রত পুরকায়স্থ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু, সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, দি সান টিভির মৌলভীবাজার প্রতিনিধি শুভশ্রী দেব শ্রেয়া, মণিপুরী সমাজ কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি স্বপন কুমার সিংহ, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থা সিলেটের সভাপতি রানা কুমার সিনহা, মণিপুরী কালচারাল একাডেমী মাছিমপুর সিলেট এর সভাপতি অলক কুমার সিংহ, সাধারণ সম্পাদক ধীরেন্দ্র সিংহ ধীরু, মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, সহকারী হাই কমিশনার অফিস সিলেটের সেকেন্ড সেক্রেটারী নির্বান কুমার গাঙ্গুলী, এটাচি সঞ্জীব কুমার, রাম প্রসাদ, এএসও মহেন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মণিপুরী কালচারাল একাডেমী মাছিমপুর সিলেট ও মণিপুরী কালচারাল একাডেমী আদমপুর মৌলভীবাজারের শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০টা ১৮ মিনিটে ভারতের সংবিধান কার্যকরী হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারি আড়ম্বরপূর্ণভাবে প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় ।
এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সব অনুষ্ঠানেই কিছুটা কাটছাঁট আনা হয়েছে। দিল্লিতে ছোট করা হয় কুচকাওয়াজের দৈর্ঘ্যপথ। অন্যবারের মতো এবারও বিজয় চক থেকে শুরু হয়েছে কুচকাওয়াজ। তবে লাল কেল্লার পরিবর্তে কুচকাওয়াজ শেষ হয়েছে ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে।
এদিকে, ভারতের জাতীয় রাজধানী নয়াদিল্লির মূলকেন্দ্র রাজপথে মঙ্গলবার দেশটির প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশি তিন বাহিনীর কন্টিনজেন্ট।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫০ বছর স্মরণে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের প্রথম ১০ সারিতে ছিলেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১২২ সদস্য। লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহতাশিম হায়দার চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন বাহিনীর কন্টিনজেন্টের প্রথম ছয় সারিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পরের দুই সারিতে নৌবাহিনী ও শেষের দুই সারিতে বিমানবাহিনীর সদস্যরা ছিলেন।