কুলাউড়ায় সন্তানসহ স্ত্রী লাপাত্তা, নিরুপায় হয়ে স্বামীর তিনটি জিডি!
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০২১, ১১:২০ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দুই মেয়েকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধু। অসহায় স্বামী হন্যে হয়ে খোঁজছেন স্ত্রী ও সন্তানদের। পরে কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়রি করেন স্বামী। ইতিপূর্বে এভাবেই হঠাৎ উধাও হয়ে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধু। কুলাউড়া থানায় স্বামী তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩টি সাধারণ ডায়রি করেছেন।
জিডি সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়ার ভুকশিমইল ইউনিয়নের ইসমাইল হোসেন (সবুজ) এর স্ত্রী শাহিনা আক্তার (৩৪) গত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে কুলাউড়া শহরে আসেন পরে আর বাড়ি ফিরেননি । তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও বন্ধ রয়েছে। শাহিনার সাথে দুই মেয়ে জাহানারা আক্তার মীম (১২), ফাতেমা আক্তার মৌ (৯) ছিলো। শাহিনার স্বামী ইসমাইল হোসেন সবুজ কুলাউড়া থানায় জিডি (নং ৮০৯ তাং ২০.০১.২১) করেন।
স্বামী ইসমাইল হোসেন আরও অভিযোগ করেন, গত বছরের ২ মার্চ একইভাবে এক মেয়েকে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছিলো তার স্ত্রী। ৩ মাস পর নিজেই বাড়ীতে ফিরে আসেন। লাপাত্তা হওয়ার ৩ মাস পর ফিরে এসে আমার স্ত্রী পুনরায় ঝগড়া বিবাদ ও পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি করে। তিনি পরিবারের কারও কথাবার্তা শুনেন না। নিজের খেয়াল খুশিমতো চলেন। নিখোঁজ হওয়ার পর কুলাউড়া থানা জিডি (নং ২০১ তাং ০৪.০৩.২০) করি।
এছাড়া গত ১০ জানুয়ারি শাহিনা আক্তার ৯৯৯ এ কল করে থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পুলিশ সাথে সাথে বাড়িতে গিয়ে অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে স্বামী সবুজ স্ত্রীর শাহিনার বিরুদ্ধে জিডি (নং ৪৩৬ তাং ১১.০১.২১) করেন। ইসমাইল হোসেন সবুজ জানান, তিনি স্ত্রীর অমানষিক নির্যাতনে অতিষ্ট। কেবল সন্তানের মায়ায় স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রাখতে হচ্ছে।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, তার স্বামী ভাষ্যমতে ওই মহিলা প্রায়ই এভাবে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। যেহেতু জিডি হয়েছে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।