মৌলভীবাজারে এবার আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকদের চোখেমুখে তৃপ্তির হাসি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ নভেম্বর ২০২০, ৬:৫১ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজার জেলার সাতটি উপজেলায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন ফলেছে। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। গত এক সপ্তাহ ধরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এবছর আবহাওয়া ভাল থাকায় এশিয়ার বৃহত্তর হাওর হাকালুকি, কাউয়াদিঘি ও বাইক্কাবিল হাওরে অনেক অনাবাদি জমিতে আমন চাষ হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২শ’ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে এক লাখ ১ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৮০২ টন।
কুলাউড়া উপজেলার দক্ষিণ কৌলা গ্রামের কৃষক মজিদ মিয়া, রাঘব মালাকার বলেন, এবছর তারা ১৬ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ করেছেন। জমিতে ফলনও ভালো হয়েছে। যদি বাজারে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় তবে ধানের ভর্তুকি দিতে হবে না। তাদের আশা সঠিক মূল্য পেলে তারা লাভবান হবেন।
জুড়ী উপজেলার জায়ফর নগর ইউনিয়নের ভুয়াই গ্রামের নির্মল বিশ^াস বলেন, আমি ৮ কেয়ার জমিতে আমান ধান লাগিয়েছি। ফলনও ভাল হয়েছে, এখন সঠিকভাবে ঘরে ধান তুলতে পারলে এক বছরের খোরাক হয়ে যাবে।
মৌলভীবাজার সদরের কাউয়াদিঘি হাওরপাড়ের বড়কাপন গ্রামের রবিন মিয়া ও বশর আহমদ বলেন, একসময় কাউয়াদিঘি হাওরের যে জমিতে আমন ধান চাষ করা যায়নি, এ বছর সেই জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিয়ার প্রতি ১৯-২০ মণ ধান হতে পারে।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী সোমবার (২৩ নভেম্বর) জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় ২১ শতাংশ আমন ধান কাটা হয়েছে। তবে কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে সময় লাগছে। আমরা বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার মেশিন দিয়ে সহযোগিতা করছি।
তিনি আরোও বলেন, কৃষি বিভাগের সময় মতো তদারকি এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর আমন ধানে পোকার আক্রমণ ও অন্যান্য রোগবালাই কম হয়েছে। তাই জেলায় এবার আমনের ফলন ভালো হয়েছে। আর কৃষকরাও ফলন ভালো হওয়ায় বেজায় খুশি।