মৌলভীবাজারে জেলা সদরে ডাকাতি রোধে পুলিশ-জনতা যৌথ পাহারা শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ নভেম্বর ২০২০, ৩:১৫ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের পরিকল্পনায় ডাকাতি রোধে পুলিশ ও জনতার যৌথ পাহরা দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মৌলভীবাজার জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ স্থানীয় কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে এই কার্যক্রম তাদরকি করেন। সেসময়ে পাহারায় থাকা পুলিশ সদস্য ও সাধারণ জনগনকে পুলিশ সুপার উৎসাহ দেন।
এই কার্যক্রম তদারকিতে অংশ নেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু নাসের মোহাম্মদ রিকাবদার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক।
চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের ছড়াপার এলাকার লিটন মিয়া জানান, তারা প্রতিদিনই পুলিশের সাথে পাহারা দেন। তবে পুলিশ ছাড়াও তারা পাহারা দেন। কোন সমস্যা হলে মোবাইল ফোনে পুলিশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। তাদের এলাকায় অপরিচিত কাউকে দেখলে তার সার্বিক তথ্য জানতে চান। সন্দেহ হলে টহল পুলিশকে খবর দেন।
সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে মোড়ে ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ-জনতা মিলে পাহারা দেয়ায় এলাকাবাসী নিজেদের অনেকটা নিরাপদ মনে করছেন। তবে সাধারণ মানুষের বক্তব্য শুধু প্রচারের মধ্যে এধরণের কার্যক্রমকে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিদিনই যাতে একাজের সঠিক তদারকি হয় তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এছাড়া শীতের শুরুতেই পর্যটণ এলাকা শ্রীমঙ্গলে ইতিমধ্যেই ডাকাতির ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। আর চুরি ডাকাতি প্রতিরোধে জেলার সদর উপজেলা ছাড়া অন্যান্য উপজেলা গুলোতে পুলিশের উর্দ্বতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি, যুবশক্তিকে যুক্ত করে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে করোনাকালিন অর্থনৈতিক দূরাবস্থায় চুরি ডাকাতি বেড়ে যেতে পারে বলে সচেতন মহল মনে করেন।
এছাড়া রাত্রি ৭টার পর থেকে মহা সড়কসহ আঞ্চলিক সড়কগুলোতে পুলিশী টহল কার্যকর অর্থে জোড়দার করা জরুরী বলে আতঙ্কিত এলাকাবাসী দাবি করেন। পুলিশের সকল স্তরের কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্ঠা ছাড়া গোটা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও চুরি ডাকাতি বন্ধ করা কঠিন হতে পারে বলে জেলাবাসী মনে করেন।