ডিজিটাল জগতে নিরাপদ থাকার প্রশিক্ষণ পাবে ৯০ হাজার কিশোর-কিশোরী
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৯:২৩,অপরাহ্ন ২৮ অক্টোবর ২০২০
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
চলমান বৈশ্বিক মহামারি সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে সবাই নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। বিশেষত শিশুদেরকে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া থেকে শুরু করে নানা কাজ করতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হচ্ছে। এই বাস্তবতায় যেসব কিশোর-কিশোরী মূলধারার শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে তাদের জন্য অনলাইন সেফটি প্রজেক্ট ও প্রশিক্ষণের পরিধি বাড়াতে ইউনিসেফের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে গ্রামীণফোন। ইউনিসেফের অ্যাডোলেসেন্ট ক্লাব প্রোগ্রামের মাধ্যমে এ প্রকল্পের সহায়তায় ৯০ হাজার কিশোর-কিশোরীর মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
গ্রামীণফোনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বুধবার বলা হয়, অল্পবয়স থেকেই তরুণরা ক্রমশ ইন্টারনেটে অনেক সময় কাটাচ্ছে। ডিজিটাল বিশ্বে তারা কীভাবে নিরাপদে ও সুরক্ষিত উপায়ে বিচরণ করবে এ নিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা বাড়াতে তাদের সহায়তা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ডিজিটাল রিজিলিয়েন্স নিয়ে প্রচার করাও জরুরি। অনলাইনে নিরাপত্তা নিয়ে বাবা-মা, শিশু, কিশোর-কিশোরী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা হওয়াও জরুরি। এখানে মূলধারার শিক্ষা ও এর বাইরে যেসব শিক্ষার্থী রয়েছে তাদেরকে যুক্ত করতে হবে। ইন্টারনেটে নিরাপদে ও সুরক্ষিতভাবে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা পেতে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের অনলাইন সেফটি নিয়ে প্রশিক্ষণ সহায়তা দেবে ‘চাইল্ড অনলাইন সেফটি প্রজেক্ট’।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের জন্য ইউনিসেফ ও বাংলাদেশ সরকার বিশেষায়িত প্রকল্পভিত্তিক নানা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এ প্রকল্পগুলোর লক্ষ্য হলো, তরুণদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটানো। চলতি বছর, গ্রামীণফোন ও ইউনিসেফ পরিচালিত অনলাইন সেফটি প্রজেক্ট তৃতীয় বছরে পদার্পণ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা দেশের ১৬শ’ ক্লাবের কিশোর-কিশোরীদের মাঝে অ্যাপ্লিকেশন বেজড অনলাইন প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হবে।
সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট পরিবেশ নিয়ে বোঝাপড়া বৃদ্ধিতে এবং বাবা-মা, অভিভাবক ও শিক্ষদের জানাশোনা বাড়াতে ২০১৪ সাল থেকে গ্রামীণফোন দেশজুড়ে স্কুলগুলোতে আউটরিচ প্রোগাম আয়োজন করে আসছে। ২০২০ সালের মধ্যে দেশজুড়ে ৬ লাখ বাবা-মা এবং ১২ লাখ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানোর অঙ্গীকারে ২০১৯ সালে টেলিনর গ্রুপ এবং ইউনিসেফের সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করে গ্রামীণফোন।