সিলেটে রোগীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে চিকিৎসক কারাগারে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ অক্টোবর ২০২০, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় রোগীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার এক প্রাথমিক চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার ওই চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার সন্ধ্যায় দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত প্রাথমিক চিকিৎসক ডা. ইকরামুল হোসেন (৪২) দক্ষিণ সুরমার লাউয়াই গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় দক্ষিণ সুরমার রেলগেইট পয়েন্ট সংলগ্ন ফয়ছল মেডিকেল হলে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার বাসিন্দা ও শ্লীলতাহানীর শিকার বিবাহিত মহিলার ভাই বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২১ (২৬.১০.২০২০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমার রেলগেইটে ফয়ছল মেডিকেল হলের প্রাথমিক চিকিৎসক ডা.ইকরামুল হোসেন দুয়েলের চেম্বারে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার জামাল মিয়া এর বিবাহীত বোন ও বোনের বাসার কাজের মহিলাকে নিয়ে গত ২৫ অক্টোবর রোববার বিকেল আড়াইটার দিকে ঐ চেম্বারে যান। সেখানে চেক আপ করার সময় অভিযুক্ত ইকরামুল ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে যৌন নিপীড়নের উদ্দেশ্যে হাত দিলে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাকবিতন্ডা শুনে সাথে থাকা কাজের মহিলা পাশের রুম থেকে ডাক্তারের রুমে আসেন। নিজের আত্মসম্মানের কথা ভেবে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রেসক্রিপশন ও ফার্মেসী থেকে ঔষধ নিয়ে তারা বাসায় চলে যান।
এই ঘটনা শুনার পর সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় কয়েকজনকে সাথে নিয়ে মামলার বাদি ফয়ছল মেডিকেলে গিয়ে ডাক্তার ইরামুলকে জিজ্ঞাস করলে তিনি ভুলবসত এই কাজ করেছেন বলে জানান। ঘটনা জানাজানি হলে লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অভিযুক্ত ইকরামুলকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসক ইকরামুল হোসেনের উপর নারী নির্যাতনে মামলা হয়েছে। মামলা নং ২১। আমরা আসামীকে সোমবার বিশেষ আদালতে প্রেরণ করেছি। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।