মৌলভীবাজারে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গোৎসব
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০২০, ৭:৫৪ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেবী দূর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর পর থেকে সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত পূজার প্রতিমা বিসর্জন শুরু কোন প্রকার শোভাযাত্রা ছাড়া। জেলার বাকী ৬টি উপজেলায় সরকারি নির্দেশনা মেনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যার আগেই সকল স্থানে বিসর্জনের কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারে চাঁদনীঘাটে সোমবার দুপুর থেকে মনু নদীতে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। পরে বিভিন্ন মন্ডপ থেকে ঘাটে প্রতিমা আসতে থাকে বিসর্জনের জন্য। শঙ্খ আর উলুধ্বনি, ঢাকঢোলের বাজনার সঙ্গে দেবীর বিদায়ের গানের মধ্য দিয়ে বিজয়া দশমীর যাত্রায় অংশ নেন ভক্তরা। বিধি-নিষেধের কারণে শোভাযাত্রায় ভক্তদের সংখ্যা কম ছিলো।
প্রতিমা নদীঘাটে নেয়ার পর ভক্তরা শেষবারের মতো ধূপধুনো নিয়ে আরতি করেন। শেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে প্রথমে কলাবউ ও পরে দেবীকে বিসর্জন দেয়া হয়।
চন্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয় দুর্গাপূজা। করোনা মহামারির কারণে সংক্রমণ এড়াতে এ বছর ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়। উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্তি¦ক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হয়। পূজামন্ডপগুলোতে ছিল না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে মহা প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
এবারের দুর্গোৎসবকে শুধু ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। করোনার কারণে এবার হয়নি বিসর্জনের শোভাযাত্রা। হয়নি বিশাল পরিসরে সিঁদুর খেলা।