বেপরোয়া হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের ধাক্কায় সিএনজি খাদে, আহত চার সংবাদ কর্মী
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ অক্টোবর ২০২০, ২:৩৫ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব:
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস (ঢাকা মেট্রো ভ ১১-০৩৬৮) এর কারণে অল্পের জন্য মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন চার সাংবাদিক।
বুধবার (৩০ শে সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার মতিগঞ্জ বিলাশের পাড় নামক এলাকায় বেপরোয়া গতিতে ছুটে এসে কোনপ্রকার সংকেত না দিয়েই সিএনজির পেছন থেকে এসে চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এতে করে সিএনজির চালক মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে সিএনজিটি রাস্তার পাশের জমিতে গিয়ে পড়ে। এতে করে ঐ সিএনজিতে থাকা চার সাংবাদিক সহ ছয় জনেই শারীরিক ভাবেই আঘাত প্রাপ্ত হন। তবে শারীরিক ভাবে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হন আল ইব্রাহিম নামে এক সাংবাদিক পরে তাকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসা দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের শ্রীমঙ্গল অফিসে অভিযোগ করলে তখন কর্তব্যরত কাউন্টার ম্যানেজার কোন প্রকার ভ্রুক্ষেপ না করে দাঁড়িয়ে থাকা বাসটি ও চালককে ঘটনাস্থল থেকে পলায়ন করতে সহযোগিতা করে।
পরে সাংবাদিকবৃন্দ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সিএনজিতে করে মির্জাপুর ইউনিয়নে গুরুত্ব পূর্ণ সংবাদ সংগ্রহ করে শ্রীমঙ্গল ফেরার পথে ছিলেন দৈনিক কালজয়ী ও দৈনিক স্বাধীন সকাল পত্রিকার উপ সম্পাদক কে এস এম আরিফুল ইসলাম, দৈনিক প্রথম আলোর শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রতিনিধি শিমুল তরফদার, দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রতিনিধি আল ইব্রাহিম, দৈনিক সিলেট প্রেসের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রতিনিধি রাজেশ ভৌমিক, লতা সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক নুরুজ্জামান ও সিএনজি চালক আকাশ দোষাদ ।
সিএনজি চালক আকাশ দোষাদ বলেন, আমি সুন্দরভাবে সাংবাদিকদের নিয়ে আসছিলাম। এসময় পিছন থেকে কোন ধরনের সিগনাল না দিয়ে আমাদের গাড়ির উপরে উঠে যাচ্ছিলো। আমি সিএনজিকে কোন রকমে সড়কের পাশের ঘাস জঙ্গলের উপরে দিয়ে নিয়ে যাই। সিএনজি টি প্রায় রাস্তা থেকে নিচে খাদে পড়ে যাওয়ার অবস্থা থেকে কোনভাবে রক্ষা পায়। তা না হলে সিএনজি সকল যাত্রীর মৃত্যু হতো।