এমসি কলেজে গণধর্ষণ : ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তি চান আ’লীগ নেতারাও
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১১:৪৯ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
শফিউল আলম নাদেল বলেন, ‘শতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রবাসে লোমহর্ষক ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। ন্যাক্কারজনক পাশবিক এই ঘটনায় আমি ক্ষুব্ধ ও ব্যাথিত। খুব কষ্ট লাগছে যে, এম সি কলেজের পবিত্র ক্যাম্পাসে আমরা শিক্ষার্থী ছিলাম, সেই কলেজে এমন নির্মম জঘন্যতম অপরাধ সংগঠিত হলো।
এমসি কলেজ বারবার কেনো অপরাধের জন্য শিরোনাম হচ্ছে। কারা এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাঙ্গনের আলোকিত ধারাকে কালিমা লেপন করছে তাও খোঁজা জরুরি। এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে যারা উৎসব করেছিল তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে একই ছাত্রাবাসে এমন অপরাধ করার সাহস পেতো না এই দুর্বৃত্তরা।
একটি বিষয় বোধগম্য হচ্ছে না, যেখানে কলেজের শ্রেণিকার্যক্রম বন্ধ। সেখানে গুটিকয়েক জনের জন্য ছাত্রাবাস খোলা থাকে কি করে? কলেজ প্রশাসন এর দায় এড়াতে পারেন না। ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের মতো বর্বরোচিত এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
জেলা আওয়ামী লীগ:স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: লুৎফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: নাসির উদ্দিন খান।
নেতৃবৃন্দ এই ধর্ষকদের অতি দ্রুত গ্রেফতারে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
তিনি বলেন, ‘ধর্ষণকরীদের কোনো পরিচয় নেই। তাদের পরিচয় শুধু-তারা অপরাধী। এই লজ্জাজনক ঘটনায় আমরা অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে কথাও হয়েছে।\’
আজাদুর রহমান আজাদ: এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সিলেট আওয়ামী লীগ টিলাগড় গ্রুপের একটি অংশের নেতা ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদও।