লম্বা দাড়ি-চুল কামিয়ে চোখ ফাঁকির চেষ্টা তারেকের
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৮:৫৩ অপরাহ্ণ
হঠাৎ করে দেখে চেনার উপায় ছিল না। কয়েকদিন আগেও বড় বড় দাড়ি আর মাথা ভর্তি চুলে ছিলেন যিনি, ধর্ষণের মামলার আসামি হওয়ার পরপরই গ্রেপ্তার এড়াতে সেই তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ নিয়েছেন নতুন এক ছদ্মবেশ।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার মামলার এই দুই নম্বর আসামির। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমানগঞ্জের দিরাই থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
তারেককে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৯ এর গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা এএসপি ওবাইন রাখাইন।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার এড়াতে মাথার চুল ফেলে ন্যাড়া হন তারেক। ক্লিন শেভ করে বড় বড় দাড়িও ফেলে দেন তিনি। গ্রেপ্তারের সময় তারেক খালি গায়ে লুঙ্গি পরা অবস্থায় ছিলেন। এমন ছদ্মবেশী তারেককেই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারেকসহ এই মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বরমা গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল তারেক। গোপন সংবাদে অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার বিকালে এমসি কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার এক দম্পতি। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন যুবক জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে তারা।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে শাহপরাণ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শাহপরান থানায় মামলা করেন তরুণীর স্বামী। যে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবেই পরিচিত- সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক আহমদ, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।