জালিয়াতিতে বেশ পারদর্শী ছাতকের আফতাব!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৫:২১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
মো. আফতাব উদ্দিন (২৬) পেশায় একজন মুহুরী। সুনামগঞ্জ আদালতের এক এডভোকেটের সহকারী হিসেবে কাজ করছে। তবে আফতাব জালিয়াতির কাজেও বেশ পারদর্শী। সরকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষর, সীলমোহর, জাল কাগজপত্র তৈরীসহ বিভিন্ন জালিয়াতির কাজে জড়িত আছে সে। কমিশনের ভিত্তিতে এসব কাজে দীর্ঘদিন যাবৎ জড়িত আছে বলে জানা গেছে।
তবে তার সহযোগী ভয়াবহ একটি প্রতারক চক্রের রয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে। আফতাব উদ্দিন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রণমঙ্গল গ্রামের সিরাজ উদ্দির ছেলে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাপস শীলের নেতৃত্বে একদল পুলিশের অভিযানে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকার লোকজন ভীড় করেন আফতাবের বাড়ীর সামনে।
এসময় পুলিশ আফতাবের বাড়ী থেকে সরকারী কর্মকর্তা জাল স্বাক্ষর সম্মিলিত কাগজপত্র, ১১টি সীলমোহরসহ আফতাবকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একইদিন মধ্যরাতে শহরের ‘প্রিন্টেক কম্পিউটার’ নামক একটি দোকান থেকে ৩টি মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র ও ৩টি কম্পিউটার জব্দ করেছে থানা পুলিশ। এসময় ফয়সল আহমদ নামে আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।
সে উপজেলার উত্তরখুরমা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের আরশ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে এসিল্যান্ড অফিসের নাজির লাল মিয়া বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের হাতে আটক আফতাব ও ফয়সলকে দুপুরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। ইউএনও মোহাম্মদ গোলাম কবির বলেন, এই জালিয়াতির সাথে জড়িত এক সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। এদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এই জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আফতাব পুলিশকে জানায়, প্রতারনা-জালিয়াতির কাজে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যসহ বেশ কয়েক জন রয়েছে। ওই চক্রের সদস্যরা তাকে দিয়ে নানা এসব অপরাধমূলক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বিনিময়ে নিয়মিতই তাকে কিছু কমিশন গিয়ে থাকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক মো.ইয়াছিন মুন্সি বলেন, জালিয়াত চক্রের সাথে জড়িতদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মামলা তদন্তে প্রকৃত অপরাধীদের আইনে আওতায় আনা হবে।