এখনো আতঙ্কে নগরবাসী : ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়, বোমা রহস্যের জট খুলবে কবে?
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ আগস্ট ২০২০, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
এখনো অপেক্ষায় নগরবাসী। মোটর সাইকেলকে ঘিরে আতংক কাটেনী এখনো। গতকাল বিকাল থেকে পুরো নগরীর মানুষ আতঙ্কিত। চৌহাট্টা পয়েন্টে বোমা সদৃশ্য বস্তুর খবরে নগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ‘বোমা আতঙ্ক’। আতঙ্কিত নগরবাসী এখন পর্যন্ত অপেক্ষায় এই বোমা রহস্যর জট খুলবে কখন।
মোটরসাইকেলে দৃর্বুত্তদের বোমা সদৃশ্য বস্তু রাখার ঘটনায় র্যাব এর একটি বোমা এক্সপার্ট টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শীঘ্রই উদ্ধার অভিযানের জন্য ঢাকা থেকে বোমা নিস্ক্রিয়করণ স্পেশাল টিম ঘটনাস্থলে আসছে। এই অপেক্ষায় সময় কাটছে নগরবাসীর ।
ট্রাফিক পুলিশের মোটরসাইকেলে রাখা বোমাসদৃশ্য বস্তুটি এখনো ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা থেকে পৌছেনি পুলিশের বোমা বিশেষজ্ঞ টিম।
এদিকে রাত থেকে এই মোটেরসাইকেলে রাখা মেশিনটি দেখে অনেকেই ট্রল শুরু করেছেন । কেউ বলছেন এটি দেয়াল ছিদ্র করার গেরেনডার মেশিন আবার কেউ বলছেন এটি মেশিন তবে ভিতরে বোমা ফিট করা থাকতে পারে । এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলেছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।তবে নগরবাসী ভয় কাটেনি ।
এবিষয়ে এসএমপির উপ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার পিপিএম বলেন, আমার ঢাকার বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে বিষয়টি জানিয়েছি।তারা (বোম ডিসপোজাল ইউনিট) আসার পর উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
এরআগে বুধবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় চৌহাট্টা এলাকার (পূর্বের পুলিশ চেকপোস্টের সামনে) দাঁড় করিয়ে রাখা আধুনিক মডেলের একটি মোটর সাইকেলে সন্দেহজনক ডিভাইস লাগানো দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এই ডিভাইস দেখে তাদেরও সন্দেহ হয়। পরে জানা যায় হানগর পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট চয়ন নাইডুর। বিষয়টি নিশ্চিত করে চয়ন নাইডু বলেন, পালসার মডেলের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নম্বর ঢাকা মেট্রো ১৪-৯২৭০। চৌহাট্টা এলাকা বুধবার (৫ আগস্ট) দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই সময় তার মোটরসাইকেল সাথে ছিলো। সন্ধ্যার আগ মূহুর্তে তিনি চৌহাট্টা পয়েন্টে মোটরসাইকেল রেখে পার্শ্ববর্তী একটি চশমার দোকানে যান। সেখান থেকে ৭-৮ মিনিটের মধ্যে চশমা ক্রয় করে বেরিয়ে মোটরসাইকেলের পেছন দিকে বোমা সদৃশ্য বস্তু দেখতে পান।
এর পরপরই চৌহাট্টা পয়েন্টসহ আশপাশ এলাকা পুলিশ ঘিরে রাখে। রাত ৯টায় র্যাব ও সিআরটির টিম ঘটনাস্থলে যান। রাত ৯টা ২৫ মিনিটে চৌহাট্টায় এসে পৌছে জায়গাটিকে ফিতা টেনে সীমানা নির্ধারণ করে পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট।