এবারও থেমে নেই সিলেট পুলিশের সেই নায়েক
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জুলাই ২০২০, ৮:৩৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্ব এখন দিশেহারা। করোনার সংক্রমণের কারণে সিলেটে কর্মহীন হয়ে পড়ায় নিম্নবিত্ত তো বটেই মধ্যবিত্তরাও সঙ্কটে পড়েছেন। কারও কাছে হাত পাততেও পারছেন না অনেকে।
এমন পরিস্থিতিতে মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে দিনরাত সিলেটের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে চলেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের নায়েক সফি আহমদ। সাধ্যমতো সহায়তা তুলে দিচ্ছেন দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারের হাতে। অনেকটা নীরবে তিনি এ তৎপরতা চালালেও ইতোমধ্যে তিনি ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন অসহায় মানুষদের কাছে।
মো. সফি আহমেদ সিলেট মহানগর পুলিশের নায়েক পদে কর্মরত। বর্তমানে তিনি মহানগর পুলিশের মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস বিভাগে কর্মরত আছেন।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) বিকেলে সিলেট নগরের ঘাসিটুলা এলাকায় ইউসেপ ঘাসিটুলা স্কুলের সুবিধাবঞ্চিত বেশ কয়েকজন এতিম শিক্ষার্থীর মধ্যে ঈদ পোশাক ও ঈদের খাবার সহায়তা বিতরণ করেছেন। স্কুলের সহকারী শিক্ষক শাহিদা জামানের তত্ত্বাবধানে বিকেল ৫টায় এসব ঈদ পোশাক ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ঈদ পোশাক ও খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ও মেয়েদের ফ্রগ (জামা), পোলার চাল, সেমাই, তেল, গুঁড়া দুধ, চিনি, নুডুলস ও ময়দা। ঈদুল আজহার আগের দিন এমন সহায়তা পেয়ে খুশি অসহায় শিক্ষার্থীরাও।
পুলিশের নায়েক মো. সফি আহমেদ জানান, এবার ঈদে পাওয়া আমার নিজের ঈদ বোনাস টাকা ও প্রবাসী কয়েকজন ভাইয়ের সহায়তায় এপর্যন্ত ৩০ জন এতিম শিশু-শিক্ষার্থী, দশজন কুরআনে হাফেজসহ অর্ধশতাধিক মানুষকে ঈদের পোশাক ও খাবার সামগ্রী দিয়েছি। খাবারের সহায়তা কার্যক্রম ঈদের পরেও অব্যাহত রাখবো। তিনি বলেন, এছাড়া বেশ কয়েকজন বন্যাদূর্গত মানুষদের মধ্যেও সহায়তা পৌঁছে দিয়েছি।
এপ্রিলে দেশে লকডাউনের পর সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন মোটরসাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন তিনি এ পর্যন্ত প্রায় আট সহস্রাধিক পরিবারকে সহায়তা করেছেন এ পুলিশ সদস্য। আগামীতেও অসহায় মানুষদের আরও সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন শফি আহমেদ। সূত্র-জাগো নিউজ