ঈদযাত্রায় সিলেটের সড়কে ঝরলো ৮ প্রাণ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ জুলাই ২০২০, ৪:২৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের ভয় উপেক্ষা করে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে সবাই। এ ঈদযাত্রায় সিলেটের সড়কে ঝরল শিশু ও নারীসহ ৮ জনের প্রাণ। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের ৫জন রয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
শুক্রবার সকালে পৃথক দুর্ঘটনায় সিলেটে একই পরিবারের ৫ জন ও হবিগঞ্জের বাহুবলে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগরে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন একই পরিবারের ৫ জন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক শিশু। হতাহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী। ঈদের আগের দিন শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরের বড়াইয়া চাঁনপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন স্বপন কুমার দাস, লাভলী রানী সরকারসহ তাদের ৩ সন্তান। তাদের আরেক সন্তানকে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এম.এ.জি ওসমানী হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।। তাদের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর (বাগহাটি) গ্রামে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে, ওসমানীনগর থানার সেকেন্ড অফিসার সুজিত চক্রবর্তী জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাটার মেশিন দিয়ে প্রাইভেট কার ও বাসের সামনের অংশ কেটে মৃতদের বের করে নিয়ে আসা হয় এবং নিহত ও আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জের বাহুবলে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে গার্মেন্টস কর্মীসহ প্রাইভেট কারের তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকালে বাহুবল উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পুটিজুরী ইউনিয়নের আব্দানারায়ন কালিবাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা গার্মেন্টস কর্মীরা হলেন, সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দশঘর গ্রামের রুহেলের স্ত্রী শাহিদা (৩৫), পিরোজ মিয়ার মেয়ে মালেহা (৩৫) ও নিহত প্রাইভেটকার চালকের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, ঢাকা গাজীপুর থেকে ঈদুল আজহার ছুটিতে গার্মেন্টস শ্রমিক শাহিদা স্বামীসহ একই এলাকার তিন সহকর্মীকে নিয়ে শুক্রবার ভোর রাতে প্রাইভেটকার (ঢাকামেট্রো-গ-১৪-১৬১২) যোগে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের আব্দানারায়ন কালিবাড়ি নামক স্থানে পৌছামাত্রাই বিপরীত দিক থেকে আসা মনোহরদী পরিবহনের ( ঢাকা মেট্রো-ব-১৪৭৬১৯) একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।এতে ঘটনাস্থলেই চালক ও গার্মেন্টস কর্মী মালেহা নিহত হন এবং চার জন গুরুতর আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শাহিদাক্র বাহুবল হাসপাতালে নেওয়ার পর গার্মেন্টস কর্মী শাহিদা মৃত্যুবরণ করেন।
অপর আহতরা হলেন-সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দশঘর গ্রামের রাহুলের স্ত্রী পিরোজ মিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলাম (৩৫), শুকুর আলীর ছেলে রুহুল (৩০) ও শহিদ মিয়ার মেয়ে নাজমা (৩০)।
পরে খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে ও বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাইভেট কারটি নিয়মবহির্ভূত অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাওয়ার কারণেই হয়তো দূর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে। নিহত প্রাইভেট কার চালকের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।