সিলেটী বিমানযাত্রীদের পুঁজি করে ইনকাম, তবুও প্রবাসীদের কষ্ট আর নিরাপত্তা ঝুঁকি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুলাই ২০২০, ৪:৫৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
লন্ডন-সিলেট রুটে বিমান যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ঢাকায় ব্যাগেজ ক্লেইম ও ইমিগ্রেশন চেক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে লন্ডন থেকে সিলেটগামী যাত্রীদের। এমন সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আমরা সিলেটবাসী নামের এক সংগঠন। তারা এক বিবৃতিতে বলেন, সিলেটগামী যাত্রীদের ঢাকায় বিমান থেকে নেমে ইমিগ্রেশন ও কাষ্টমস সম্পন্ন করে নতুন করে আবার ডমেষ্টিক ফ্লাইট ধরতে পায়ে হেটে ডমেষ্টিক কাউন্টারে যেতে হবে। এতে যাত্রীর কষ্ট এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে। সিলেট থেকে লন্ডনগামী ফ্লাইট চালু না করার একমাত্র কারণই হলো কতিপয় বিমানকর্মচারী ও উত্তরার কয়েকটি গেষ্ট হাউজের ব্যবসা। এই বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে জানানো সত্ত্বেও বিষয়টি কেউ আমলে না নিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রী হয়রানি করা হয়।
আমরা সিলেটবাসীর স্মারকলিপিটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী,
আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন গেল ২৫ জুলাই বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন এক নোটিশের মাধ্যমে জানিয়েছে যে এখন থেকে লন্ডন-সিলেট রুটে বিমান যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ঢাকায় ব্যাগেজ ক্লেইম ও ইমিগ্রেশন চেক সম্পুর্ণ করে বিমানে উঠতে হবে। একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে লন্ডন থেকে সিলেটগামী যাত্রীদের। বিমান ও সিভিল এভিয়েশন কতর্তৃপক্ষের এহেন অন্যায় সিদ্ধান্তে সিলেট বিভাগ সহ বৃটেনে বসবাসরত সিলেটবাসী তথা সর্বস্থরে প্রবাসীরা হতাশ হয়েছেন। লন্ডন থেকে সিলেটগামী যাত্রীদের ঢাকায় বিমান থেকে নেমে ইমিগ্রেশন ও কাষ্টমস সম্পন্ন করে নতুন করে আবার ডমেষ্টিক ফ্লাইট ধরতে পায়ে হেটে ডমেষ্টিক কাউন্টারে যেতে হবে। এতে যাত্রীর কষ্ট এবং নিরাপত্তার ঝুকি রয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্টিত কিছু সংখ্যক আমলা এ জাতীয় সিদ্ধান্ত নেন তাদের নিজস্ব স্বার্থে। এখানে একটি মহল অত্যন্ত কৌশলে সিলেটী বিমানযাত্রীদের পুঁজি করে বছরের পর বছর ধরে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। লাভবান হচ্ছে বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের কিছু সংখ্যক কর্মচারী ও ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত কয়েকটি গেষ্ট হাউজের মালিক। অযথা যাত্রীদের এয়ারপোর্ট থেকে লাল-হলুদ টোকেন দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় চিহ্নিত কয়েকটি গেষ্ট হাউজে। এতে লাভবান হন বিমানের কিছু কর্মচারী কর্মকতা ও গেষ্টহাউজ মালিকরা। অন্য দিকে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা গচ্ছা দিচ্ছে। আর যাত্রীরা এসব গেষ্ট হাউজে কাঙ্খিকত সেবা না পেয়ে বিমানের উপর আস্থা হারাচ্ছেন ও সীমাহীন কষ্ট ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। সিলেট থেকে লন্ডনগামী ফ্লাইট চালু না করার একমাত্র কারণই হলো কতিপয় বিমানকর্মচারী ও উত্তরার কয়েকটি গেষ্ট হাউজের ব্যবসা। এই বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে জানানো সত্বেও বিষয়টি কেউ আমলে না নিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রী হয়রানি করা হয়।
এছাড়া কোন এক অদৃশ্য কারনে বিভিন্ন অজুহাতে সিলেট থেকে ডাইরেক্ট ফ্লাইট চালু হচ্ছেনা। এছাড়া বিদেশী এয়ারলাইন্স গুলোকেও সিলেট বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়া হচ্ছেনা। আমরা কয়েক বছর যাবত লক্ষ্য করে আসছি প্রথমে বলা হয়েছে, সিলেট বিমান বন্দরে উপযুক্ত রানওয়ে নেই, তার আসল ফ্লুয়িং সিষ্টেমের কথা, এসব কিছু সমাধান হওয়ার পরও সিলেট থেকে ডিরেক্ট ফ্লাইট চালু হচ্ছেনা।
এছাড়া আমলাদের ভেতর একটি শ্রেণী রয়েছে যারা জামাত-বিএনপির আমলে রিক্রুটেট, এরাই অনেক সময় নিজেদের ইচ্ছেমত এমন কিছু সিন্ধান্ত নেন। যাতে সাধারন মানুষ বর্তমান সরকারে উপর বিরক্ত হয়। আর এই আমলাদের পেছনে রয়েছে দেশবিরোধী শক্তি। সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্ত এই দেশবিরোধী চক্রেরই সাজানো একটি ঘটনা। এতে আমাদের মত নীরিহ যাত্রীরা পোহাবে ভোগান্তি অন্যদিকে বিরুধীদের সরকারের সমালোচনা করতে সহজ হবে। ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে সরকারের।
আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটর উন্নয়নের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক । এতে আপনার ব্যক্তিগত প্রচেষ্টাও রয়েছে। আমাদের বিশ্বাস একটি চক্র বর্তমান সরকারের ভাল দিকগুলো প্রশ্নবিদ্ধ করতে অত্যন্ত সুকৌশলে এমন একটি অঘটনমূলক কাজ করছে।
মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আপনি সিলেটের উন্নয়নে সব সময় সোচ্চার এবং আপনার প্রচেষ্টায় সিলেট বিমান বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে, এসব বিবেচনায় সিলেট-লন্ডন ডিরেক্ট ফ্লাইট চালু করা এবং বিমানবন্দর ফি রহিত করতে পদক্ষেপ নেবেন, সেই সাথে জামাত-বিএনপির রেখে যাওয়া আমলাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবেন। এই কাজটি যে আমলার মাধ্যমে হয়েছে আমরা শুনেছি তিনি জামাতের এক নেতার নিকটাত্মীয়। আমাদের বিশ্বাস তার ব্যাপারেও খোজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বের কোন বিমান বন্দর ব্যবহারের ফি নেই বাংলাদেশে এটি প্রথম, এতে দেশী যাত্রী সহ বিদেশীরাও বাংলাদেশ সম্পর্কে বিরোপ ধারনা পোষণ করবে বিষয়টি দেখবেন।
আমরা সিলেট বাসীর পক্ষেঃ
সভাপতি- আনসার আহমেদ উল্লাহ, সহসভাপতি -নূরুদ্দিন আহমদ, সহসভাপতি- মতিয়ার চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক- ড. আনিছুর রহমান আনিছ, সহসাধারন সম্পাদক- জামাল আহমদ খান, সদস্য -শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল।