জালিয়াতি: বিশ্বনাথে ফেঁসেছেন আ’লীগ ও বিএনপির তিন নেতা
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ জুলাই ২০২০, ৯:০৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক :
হাওর ইজারার জন্য অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানের ডিও পত্র জালিয়াতি মামলায় ফেঁসে গেলেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আমির আলী চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাছ আলী। আদালতে দেয়া আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরও অভিযুক্ত হন বিএনপি নেতা মতছির আলী, অর্থ প্রতিমন্ত্রীর ভাগনে পরিচয়দানকারী টিটু মিয়া ও তবারক এবং হান্নান। অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপির সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি করেন উপজেলা সমবায় অফিসার কৃষ্ণা রানী তালুকদার। ওই মামলায় সোনালী মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সেক্রেটারি আবদাল হোসেনকে (৩০) প্রধান আসামি করা হয়। এজাহারে আবদাল হোসেন ছাড়া আরও ২৫ জন আসামি রয়েছেন। এ মামলায় গ্রেফতার হন আবদাল হোসেন, হেলাল হোসেন ও বিএনপি নেতা মতছির আলী। তিনজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে আব্বাস মিয়া, মতছির আলী, মৎস্যজীবী আবদাল হোসেন ও মন্ত্রীর ভাগনে পরিচয়দানকারী টিটু মিয়ার নাম বলেন হেলাল হোসেন। আর এই দুই আসামির কাছ থেকে জবানবন্দিকালে বিএনপি নেতা মতছির আলীর নাম প্রকাশ হওয়ায় তাকেও গ্রেফতার করে সিআইডি। মতছির আলী ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিকালে আ’লীগ নেতা আমির আলী, বিএনপি নেতা আব্বাছ আলী, আবদাল হোসেন, হান্নান, তবারক, হেলাল ও অর্থ প্রতিমন্ত্রীর ভাগনে পরিচয়দানকারী টিটু মিয়ার নাম বলেন। তিনি আরও বলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী টিটু মিয়াকে ডেকে নিয়ে ডিও পত্রটি ঠিক করে দেয়ার জন্য বলেছেন। তবে সুহেল আহমদ চৌধুরী দাবি করেন, মামলায় আসামি পক্ষের লোকজন তার কাছে গিয়ে বিচার প্রার্থী হলে তিনি গরিব মৎস্যজীবীদের কথা ভেবে তিনি টিটু মিয়াকে ডেকে নিয়ে সঠিক ডিও দেয়ার জন্য বলেছেন। আমির আলী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, মামলার আসামি মতছির আলী রাজনৈতিকভাবে আমার প্রতিপক্ষ। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে সে আমার নাম বলেছে। আব্বাস আলী বলেন, মতছির আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সবকিছু পাবেন। আর টিটু মিয়ার দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সূত্র- যুগান্তর।