বিশ্বনাথে শিক্ষিকার আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুলাই ২০২০, ৫:৫৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের বিশ্বনাথের দৌলতপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শিক্ষিকা আসমা শিকদারের আত্মহত্যার প্ররোচনাদাতা এবং অপমানকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা সদরে বাসিয়া সেতুর উপর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর অনুলিপি উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম নুনু মিয়া ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে দীর্ঘ দুই দশক ধরে সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারীর পাশাপাশী সহকারী শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করে আসছেন আসমা শিকদার। গত দুই দশকে ছাত্রছাত্রীদের কাছে একজন জনপ্রিয় ও ভালো শিক্ষকের উপাধী পেয়েছেন। কিন্তু নবগঠিত গর্ভনিংবডির সভাপতি আব্দুর রউফ, সদস্য আনোয়ার মিয়া ও অধ্যক্ষ হাসিম উদ্দিন বার বার প্রতিষ্ঠানের হিসাবের চাপ প্রয়োগ, অপমান ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে থাকেন।
যার অপমান সইতে না পেরে আসমা শিকদার আত্মহত্যা করেছেন। তারা ১নং আসামী গর্ভনিং বডির সভাপতি আব্দুর রউফ ও ৩নং আসামী প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিম উদ্দিনকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান।
তারা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন স্কুলে নতুন ম্যানেজিং কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের পর হিসাব সহকারি পদে তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে ঐপদে নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে পদ থেকে বেআইনি ভাবে অব্যাহতি দেয়। যা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি এবং অযৌক্তিক বলে মনে করেন তারা।
এলাকার প্রবীন মুরব্বী হাজী ধন মিয়ার সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থী বকুল আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল শিকদার, বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থী আশিক উদ্দিন, আকরাম খান, বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ছামি শিকদার। মানববন্ধনে কান্নাজড়িত কন্ঠে বক্তব্য রাখেন, নিহত আসমা শিকদারের একমাত্র ছেলে রেদওয়ান আহমদ রুহান।
এসময় মানবন্ধনে বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র আব্দুল হান্নান, আব্দুল জাহেদ, নিজামুল হক, আফিফুল ইসলাম, মখন শিকদার, আমির আলী, সুহেব মিয়া, লুকমান মিয়া, জয়নাল আহমদ, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল ওয়াসে, জাকির শিকদার, মাছুম আহমদ, খালেদ আহমদ, ইউনুস মিয়া, দবির মিয়া, মকবুল শিকদার, লিমন মিয়া, ইকবাল শিকদার, নুরুল মিয়া, জাবেদ হোসেন, ইসলাম উদ্দিন, দিদার মিয়া, সুলতান মিয়া, তাহিদ শিকদার, রাশেদ শিকদার, জামাল মিয়া, জুমন মিয়া, শামিম মিয়া, সাইদুর রহমান, লিমন মিয়া, নাজির হোসেন, সাজন মিয়া, খাইরুল ইসলাম, জুনেল মিয়া, রাসেল আহমদসহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ও বর্তমান দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।