মৌলভীবাজারে নতুন করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত : স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত, মোট আক্রান্ত ৫৭৩
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুলাই ২০২০, ২:৫৪ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার জেলায় নতুন করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন শনাক্তরা গত ৪ জুলাই তাদের নমুনা দিয়েছিল।
আক্রান্তদের মধ্যে জেলার সদর উপজেলায় ৯ জন, রাজনগর উপজেলায় ১ জন, কুলাউড়ায় ১ জন , কমলগঞ্জ উপজেলায় ৬, শ্রীমঙ্গলে ১ জন। এ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলায় মোট আক্রান্ত ৫৭৩ জন। সুস্থ্য হয়েছেন ২৯৮ জন।
জেলায় প্রতিদিনই কোভিড-১৯ সংক্রামণ বাড়ছে তার সাথে মানুষজন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। জেলা সদরের চৌমুহনী, চাঁদনীঘাট বাসস্ট্যান্ড, কুসুমবাগ পয়েন্ট, পশ্চিম বাজার এলাকায় মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে জেলা শহরে।
তবে বাজারগুলোতে কিছু মানুষ মাস্ক ব্যবহার করলেও সামাজিক দূরত্ব মানা বিষয়টি এখানে সম্পূর্ণ উপেক্ষিত। জজকোর্ট রোডের একসাথে বসে আড্ডা দিতে দেখা গেছে ১০ থেকে ১৫ জন গাড়ি চালককে। সেখানে যাত্রী যেমন স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না, তেমনি পরিবহন শ্রমিকও স্বাস্থ্যবিধি মানতে তাদের অনীহা রয়েছে। সবাই যেন আইন না মানার প্রতিযোগীতায় নেমেছেন।
চাঁদনীঘাট বাসস্ট্যান্ড এলাকার একজন চালক ফারুক মিয়া মুখের নিচে মাক্স ঝুলিয়ে প্রকাশ্যে ধূমপান করছেন। প্রায় প্রতিটি বাস, আটো রিকশা ও টমটম চালক মুখের নিচে মাক্স ঝুলিয়ে যানবাহন চালাতে দেখা গেছে। কেবল পুলিশ বা ভ্রাম্যমান আদালতের কোন টিম দেখলে মুখে মাক্স পরছেন। এ যেন চোর পুলিশ খেলার মতো।
মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলার হাট বাজারগুলো করোনা সংক্রামণের হট স্পট হয়ে উঠেছে। সরকার সাধারণ ছুটি প্রত্যাহারের পর সকলে ছুটছেন জীবণ আর জীবিকার তাগিদে। তাই লকডাউন ওঠিয়ে দেয়ার পর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে ৫ শতাধিক হয়েছে। আর এ সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে অনেকে ব্যবসা বানিজ্যও করছেন, গাড়ি চালাচ্ছেন। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস নিয়ে অনেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. তওহীদ আহমদ বলেন, মৌলভীবাজারে দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে অধিকাংশ মানুষ এখনও মাস্ক ব্যবহার করছেন না। শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছে না। দুঃখের বিষয় করোনা আক্রান্তরাও কোয়ারেন্টাই বিধি মানছেন না। জেলায় করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে হলে সবাইকে সচেতন হতে হবে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে।