সুনামগঞ্জে পানি বিপদ সীমার ওপরে নদীর পানি : ধেয়ে আসছে বন্যা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুন ২০২০, ১২:০৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (২৭ জুন) সকাল ৯ টায় সুরমা নদীর সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে পানি প্রবাহতা ৮.২৬ সেন্টিমিটার রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যা বিপদ সীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ী ঢল ও অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জে ধেয়ে আসছে বন্যা।
গত ২৪ ঘন্টায় শনিবার সকাল ৯ টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হচ্ছে ১৯০ মিলিমিটার। যা গত ৪৮ ঘন্টায় গত বৃষ্টিপাত দাড়িয়েছে ৩৪৩ মিলিমিটার।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পওর-১ মো. সবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, যেভাবে ভরতে চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হচ্ছে একই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই সুনামগঞ্জে বন্যা লেগেই গেছে বলা যায়। তবে আজ শনিবার চেরাপুঞ্জিতে কি পরিমান বৃষ্টিপাত হয়েছে তা জানাযায়নি।
তিনি জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হলে ওই বৃষ্টির পানি সুরমা নদীতে এসে পড়ে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমান জানান, চেরুপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়, ১৫ মে পর্যন্ত হাওরের ফসলরক্ষার জন্য সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমা ছিল ৬ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার এবং ১৫ মে-এর পরে বিপদ সীমা হল ৭ দশকি ৮০ সেন্টিমিটার। ৭ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করলেই বর্ষাকালে সুরমা নদীরন পানি বিপদ সীমা ধরা হয়।
এদিকে, সীমান্তবর্তী উপজেলা তাহিরপুর, বিশ^ম্ভরপুর ও দোয়ারাবাজারের গ্রামীণ সড়ক ডুবে গিয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্ধসন সিংহ জানান, বন্যার ঝুকতে রয়েছে তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন,দক্ষিণ বড়ল ইউনিয়ন ও বালিজুরি ইউনিয়ন।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গোলাম কবির জানান, ছাতকে সুরমা নদীর পানি ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে একই সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। জেলা প্রমাসন থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ছাতকে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আব্দুল আহাদ জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষে বন্যার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। প্রশাসন প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মওজুদ আছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো ও প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এব্যপারে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।