জর্ডানে অসহায় নাজমার বিভীষিকাময় বন্দিদশা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুন ২০২০, ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ঝিনাইদহের মহেশপুরের অসহায় নারী নাজমা স্বপ্ন দেখেছিলেন বিদেশ গিয়ে জীবনের ভাগ্য পরিবর্তনের। কিন্তু ভাগ্য দেবী সহায় হয়নি। উল্টো বরণ করতে হচ্ছে করুণ পরিণতি। তিনি এখন জর্ডানে দালালদের নিয়ন্ত্রণে বন্দিদশায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বন্দিদশা থেকে দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় গত ২০১৯ সালের ১২ই ডিসেম্বর ঢাকার একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে জর্ডানে পাড়ি জমান নাজমা। সেখানে দালালরা তাকে একটি বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন করছে। তাদের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করতে না পারায় শারীরিক ভাবেও নির্যাতন করা হচ্ছে। বর্তমানে তিনি জর্ডানে দালালদের একটি অফিসে বন্দিদশায় জীবন কাটাচ্ছেন। সেখানে একাধিক বাংলাদেশের মহিলা আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সেখান থেকে এক মহিলার সহযোগিতায় তার পরিবারের কাছে ফোনে নির্যাতনের বর্ণনার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে প্রবাসি নাজমার স্বামী মফিজুর রহমান ঝিনাইদহে কর্মরত মানবাধিকার সংগঠনের কাছে করুণ বর্ণনা দিয়ে স্ত্রীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
আবেদনের সূত্র থেকে জানা গেছে, নাজমা খাতুনের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মোটা বেতনে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মহেশপুর থানার রাখালভোগা গ্রামের মৃত তালেব মন্ডলের ছেলে মিলনের মাধ্যমে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালী থানাধীন কৈঝুরি ইউনিয়নের বাহারমোড় গ্রামের আলতাফ শেখের পুত্র আদম ব্যবসায়ী আলমের সাথে যোগাযোগ হয়। উক্ত আলম ঢাকা পল্টনের একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক জাহিদুলের মাধ্যমে ১২/১২/১৯ইং তারিখে তাকে জর্ডানে পাঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে শুরু হয় নাজমার জীবনের করুণ পরিনতি। নাজমাকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসি কল্যান মন্ত্রণালয় কে অবহিত করা হয়েছে এবং তাকে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নাজমার এক বোনের মাধ্যমে জানতে পেরেছে সে খুব খারাপ অবস্থায় আছে। সে দেশে ফরার আকুতি জানিয়েছে।