“রেড জোন” : পুরোপুরি লকডাউন সিলেটবিভাগ !
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ জুন ২০২০, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নেওয়ার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করা হয়েছে। আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় দেশকে রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে স্বাস্থ্যবিধি ও আইনি পদক্ষেপ।
সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ কথা জানানোর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেশের তিনটি বিভাগ, ৫০টি জেলা ও ৪০০টি উপজেলাকে পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে। আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) দেখানো হচ্ছে পাঁচটি বিভাগ, ১৩টি জেলা ও ১৯টি উপজেলাকে। আর লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) এমন জেলা দেখানো হচ্ছে একটি এবং উপজেলা দেখানো হচ্ছে ৭৫টি।
মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে শনিবার (৬ জুন) সর্বশেষ আপডেট করা তালিকায় সিলেট বিভাগের সবকটি জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বিভাগের জেলাগুলো হলো- হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও সিলেট।
ওয়েবসাইটে ঢাকা মহানগরীর ৩৮টি এলাকাকে আংশিক লকডাউন (ইয়েলো জোন বিবেচিত) হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তবে লকডাউন নয় (গ্রিন জোন বিবেচিত) বলে দেখানো হচ্ছে ১১টি এলাকাকে। এখন পর্যন্ত পুরোপুরি লকডাউন (রেড জোন বিবেচিত) হিসেবে ঢাকার কোনো এলাকাকে দেখানো হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে, দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৩৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৮৪৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায়ই মারা গেছেন ৩৫ জন।
সিলেট বিভাগে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১ হাজার ৪৭৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের।
উল্লেখ্য, গত ৮ই মার্চ প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এরপর সরকার ২৬শে মার্চ থেকে সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। দীর্ঘ ৬৬ দিনের এই ছুটি শেষে আবারও সরকারি-আধা সরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়েছে। চালু হয়েছে ট্রেন, লঞ্চসহ গণপরিবহন। উচ্চ সংক্রমণের মধ্যেই সবকিছু খুলে দেয়ায় পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। এই অবস্থায় কঠোর লকডাউন বা কারফিউ দেয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা।