সিলেট ও সুনামগঞ্জে দালাল ও মানব পাচার চক্র চিহিৃত
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২০, ২:০৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
লিবিয়ায় গুলিতে ২৬ বাংলাদেশি নিহত ও আরও ১১ জনের আহত হওয়ার ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক তদন্তে ‘চাঞ্চল্যকর’ বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, লিবিয়ায় গত ২৮ মের ওই হামলায় হতাহতরা কয়েকটি চক্রের মাধ্যমে অবৈধপথে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় দায়ের মামলায় হাজি কামালসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যাকে ওই বাংলাদেশিদের অধিকাংশকে অবৈধপথে লিবিয়ায় পাঠানোর হোতা বলা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে মানব পাচারকারী বিভিন্ন চক্রের মদদদাতাদের সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের খোঁজ করছে সরকারের একাধিক সংস্থা।
বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ায় মানব পাচার ও ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় ৩৮ জনকে আসামি করে মামলাটি করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
একটি সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে মানব পাচারকারী ও দালাল চক্রের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, বনানীসহ বিভিন্নস্থানে রয়েছে এক ডজন ট্রাভেল এজেন্ট নামক আদম ব্যবসায়ী, যারা মানব পাচারে জড়িত। চাঞ্চল্যকর কোনো পাচারের ঘটনা ঘটলে কয়েক দিন হইচই করে কিছু ‘চুনোপুটি’ ধরা পড়ে। কিন্তু প্রভাবশালী মানব পাচারকারী ও দালাল চক্রের সদস্যরা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মানব পাচারের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মামলা করার পাশাপাশি যারা সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে অন্যায়ভাবে ব্যবসা করে, তাদের শনাক্ত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুধু দেশের ভেতরেই নয়, দেশের বাইরে যারা জড়িত তাদেরও শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানব পাচারকারী চক্রের মদদদাতাদের নিয়েও কাজ করছে সিআইডি। মানব পাচার মামলার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হবে।
সিআইডির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড থেকে সর্বনিম্ন সাত বছর কারাদন্ডের বিধান রয়েছে। মূলত সিলেট, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, মাদারীপুর, শরীয়তপুরসহ সুনির্দিষ্ট কিছু এলাকার লোকজন এভাবে ইউরোপে যায়। এসব এলাকার দালাল ও মানব পাচার চক্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঢাকায় এদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত হচ্ছে।