সিলেটে ঈদের জামাতে এসএমপির ১৩ নির্দেশনা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২০, ১১:১৮ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটে ঈদের জামাতে শিশু ও বয়স্কদের ঈদগাহে না যাওয়া, কোলাকুলি এবং হাত মেলানো বন্ধসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ১৩টি নির্দেশনা জারি করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেলে এসএমপি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. জেদান আল মুসা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জানানো হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো-
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারনে মুসল্লীদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামায়াত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে; ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।
নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে।
মুসল্লীরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জীবানুমুক্ত করে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে; করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে; মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে; প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লীকে অবশ্যই মাস্ক এবং নিজস্ব টুপি পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না; ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে; এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে; শিশু, বায়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
এছাড়া সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে; করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরষ্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
সবশেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়ার করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।