তাহিরপুরে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলী
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ মে ২০২০, ৯:১০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলী টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা করাতে পারছেন না। অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন। সাদেক আলীর বাড়ি উপজেলার মধ্য তাহিরপুর গ্রামে।
সাদেক আলী র্দীঘ পাঁচ বছর যাবত প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক শক্তি সামর্থ্য হারিয়ে নিজ বাড়িতে আছেন।
এদিকে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা হলেও প্যারালাইসিস রোগে অসুস্থ সাদেক আলী পাঁচ বছর যাবত বিছানায় পড়ে থাকার পরও চিকিৎসা ভাতার তালিকাতে নাম নেই। যারা চিকিৎসা ভাতা তালিকা করেছেন তারা তার খোঁজ খবর না নিয়েই তালিকা তৈরি করেছেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হোসোইন শরীফ বিপ্লব জানান, অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা চিকিৎসার জন্য সরকারি ভাতা দিলেও একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ও র্দীঘ পাঁচ বছর ধরে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক শক্তি সামর্থ্য হারিয়ে নিজ বাড়িতে শয্যাশায়ী থাকলেও চিকিৎসা ভাতা না দেয়া খুবই খারাপ কাজ। যারা তালিকা করেছে বা তালিকায় নাম দিয়েছে তারা অনিয়ম করেছে।
মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর ছেলে শাওন জানান, বাবা পাঁচ বছর যাবত প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আছেন। টাকার অভাবে সুচিকিৎসা ও ওষুধ কিনতে পারছিনা। সুস্থ স্বাবলম্বী মুক্তিযোদ্ধারা চিকিৎসা ভাতা পান কিন্তু বাবা একজন অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা তিনি কেন চিকিৎসা ভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বলেন, এবার আর হবে না সময় শেষ।
তাহিরপুর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সাদেক আলীর প্রতি আন্তরিক। চিকিৎসা ভাতা দেয়া হয় আবেদনের প্ররিপ্রেক্ষিতে। সাদেক আলীর ছেলে শাওনকে বলেছিলাম আবেদন করতে কিন্তু তিনি কোনো আবেদন করেনি। যার জন্য সাদেক আলীকে দেয়া হয়নি। আমরা ১ লাখ টাকা ৫৫ জনের মধ্যে তা বিতরণ করেছি।
ইউএনও বিজেন ব্যানার্জি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আলীর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।