শুভ জন্মদিন
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ মে ২০২০, ৭:১৭ অপরাহ্ণ
জাকির মোহাম্মদ:
অখণ্ড অবসর আমার। খুব মন খারাপও। কিংবা ধরুন খুব কোলাহলে হল্লা করছি বন্ধুদের সাথে,অফিসে,আড্ডায়,ঢাকা-সিলেট-রাজশাহী-পাবনা,যশোর যেখানেই হোক যে কানেক্টেড আছে ইনবক্সে সে সাজিদ।
স্বপ্ন দেখা না দেখার অপার জগত। চেনা অচেনার বন্ধরে নোঙর করা কোন সময়।
স্বপ্ন দেখা ও বাস্তবতার একটি নিদর্শন কিছু দিন আগে প্রকাশিত বাস্তব। সে যেটি চায় না তার জন্য আমি চাই। সে চেষ্টা করে তার একটা প্রকাশিত রূপ দেবার এবং সেটি দেয়। খুব টেলেন্ট একটা ছেলে। কিন্তু কাজে লাগাবে না। কেমনে কাজে লাগায় না তার ফিরিস্তি অনেক টানা যাবে। একটা টানি-এইডেড স্কুলের নামকরা ছাত্র কলেজে ভর্তি হয় একটি মফস্বল কলেজে। যখন ভর্তি হয় এই কলেজে তখন মাত্র একটি বিল্ডিং, অথচ সেখানেই এখন তিনতালা তিনটি বিল্ডিং। কিছু কি টান ছিল?
হয়তো। এসকল টানের ভুলের মাত্রা কত বিস্তৃত আজ জীবনের নানা টানাপোড়নে বারবার প্রমানিত। তার জীবন থেমে থাকে না। চলছে। চলমান। কিন্তু স্বপ্নে দেখা সে সকল জোৎস্নার আড়ালে আড়ালে কান্নার যে রঙ দেখি, তার খোঁজ কেউ নেয়নি। দিব্বি হাওয়া পরিবর্তনে মানুষ অন্যরকম হয়ে যায়। মনে পড়ে হুমায়ুন। যারে ভালোবাসো, তারে হিংসে করো না। এমনতরো হাজারো লাখো শব্দরা তার জন্য হিতৈষী হয়ে দেখা দেয়।
সত্যিই তো ব্যাস্ততা এক বড় মায়াবী জগত। তার চে ঢের বেশি যারা জন্মদিনে হাইড করে রাখে তাদের টাইমলাইন। অবশ্য বিখ্যাতজনরা সে রকমটি করেই থাকেন। হাইডকৃত টাইমলাইন জানে কি, হৃদয়ে খোলা জন্মদিন চাষ করে যায় মহাশিং বিধৌত সে সকল সময় যা কেবল তোর আমার। কখনোবা অন্যদেরও।
মহাশিং এলেই কত কী মনে পড়ে। মনে পড়ে সে সকল দূর্বাঘাসভেজা সময়। মনে পড়ে কোন এক সকালে নদী তীরের ছবি। মনে পড়ে হোটেলের স্কেচ। মনে পড়ে ফালুদারঙ হাসি। মনেই তো পড়ে। মন আছে, মনে থাকবে। যাদের নাই তাদের টা নিয়ে পড়ে না থেকে যাদের আছে তাদের রসিতে টান দাও। খুলে নাও সে সকল দেখার হাওর ভোর যা কেবল তোমার। যা অন্য কারো হবার আগে বেঁধে রাখো সময়ে।
স্বার্থক সময় সবার হয় না। এমনটি হয়তো আমাদের বেলায়ও। সবকিছু ডানহাতে থাকার পরেও বামহাতের একটু হাওয়া লাগানিতে অন্যের। থাক। যা নিজের তা নিজের। যা অন্যের তা থাক অন্যের কচলানো সময় হয়ে। নিরবে যে থাকে তার সরব তাড়া না পেলে সাজিদদের কিছু যায় আসে না, এটা আমার বিশ্বাস।
১০ মে ২০২০