ছাতকে পুলিশের হাতে ডাক্তার লাঞ্ছিত
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ এপ্রিল ২০২০, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত এক ডাক্তার পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের মেডিকেল রোডে শারীরিকভাবে লঞ্ছনার শিকার হন ডা. তোফাজ্জল হোসেন সনি।
পরবর্তীতে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হলেও অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার ডাক্তারদের মাঝে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন শেষে জরুরি কাজে বের হন মেডিকেল অফিসার ডা. তোফাজ্জল হোসেন সনি। এ সময় ছাতক থানার উপ-পরিদর্শক মান্নানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল দল সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের লক্ষ্যে সেখানে যায়। যাওয়ার পর পরই উপস্থিত লোকদের লাঠিচার্জ শুরু করেন উপ-পরিদর্শক আব্দুল মান্নান। এ সময় ডা. সনিকেও লাঠিপেঠা করা হলে তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন। পরিচায় পাওয়ার পর তাকে কোন কিছু না বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পুলিশ। পরবর্তীতে ডাক্তারদের পক্ষ থেকে বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়। সন্ধ্যার পুলিশ হাসপাতলে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী আসাদ জানান, সন্ধ্যায় পুলিশ এসে রাস্তায় যাকে পেয়েছে তাকেই লাঠিপেটা শুরু করে। এক পর্যায়ে ডাক্তারের গায়েও হাত তুলে তারা।
সুনামগঞ্জ বিএমএর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল হাকিম বলেন, ছাতকে পুলিশের হাতে ডাক্তার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। পরবর্তীতে বিষয়টি মিটমাটও হয়ে গেছে। কিন্তু জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার উচিত ছিল ডাক্তার পরিচয় পাওয়ার পর তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করা। সেটা না করায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতির মাঝে ডাক্তারারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশকেই সবার আগে নিশ্চিত করতে হবে।
ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডা. তোফাজ্জল হোসেন সনি বলেন, পুলিশের সাথে যে ঘটনা ঘটেছিল সেটার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে এমন কোনো ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফা কামাল।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ডাক্তারদের সাথে এমনটা হওয়ার কথা না। আমি বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।