একজন ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ সিলেটের এসপি ফরিদ উদ্দীন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ এপ্রিল ২০২০, ৭:০৩ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
মানব সেবাই পরম ধর্ম। পৃথিবীর প্রতিটি ধর্মেই মানব সেবার কথা বলা আছে। অনেকের মতে মানব সেবার মাঝেই সৃষ্টিকর্তার আনুকূল্য পাওয়া যায়। চাইলে অনেকভাবেই মানুষের সেবা করা যায়। যারা গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের পাশে তাদেরকে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ বলে ডাকা হয়। তেমনি একজন ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম।
বিশ্বব্যাপী মরণব্যাধি হিসাবে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নির্মূলে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের এই সংকটময় মূহুর্তে অসহায় মানুষের মুখে তৃপ্তির হাসি ফোটাতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে সরকার মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন কর্ম হারিয়ে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা কিংবা দায়িত্ব পালনের সময় বাস্তব উপলব্ধি থেকে নিম্ন আয়ের এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
করোনা ভাইরাসের শুরুতে সিলেট জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগে সংক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে যানবাহন ও বিভিন্ন এলাকায় স্প্রে মেশিন দিয়ে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। পথচারীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করা হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রকাশিত বিভিন্ন নির্দেশনার লিফলেট বিতরণ করে পুলিশ। এর আগে জেলার প্রত্যেকটি থানা, তদন্ত কেন্দ্র, ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী যেমন হ্যান্ড গ্লাভস, পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। জেলার প্রতিটি থানার অফিসার ইন-চার্জগন পুলিশ সুপারের নির্দেশে নিজ নিজ থানা এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ছুটে চলেছেন।
শুধু তাই নয়, তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণকারী ডাকাতদের বাড়ি বাড়িও খাবার নিয়ে ছুটছেন তিনি। একাধিক মামলার হুলিয়া নিয়ে যারা ডাকাতি করে বেড়াচ্ছিলো,পুলিশের ঘোষণায় আত্মসমর্পণের পর থেকে তারা কারাগারে রয়েছে। আত্মসমর্পণ করা সেই ডাকাতদের পরিবারের কথা ভুলেননি মানবতার ফেরিওয়ালা সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ। পায়ে হেটে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে ডাকাতদের পরিবারের কাছে জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিতরণকৃত ত্রাণ তুলে দেন। তখন পুলিশ সুপারের হাত থেকে খাদ্য সামগ্রী পেয়ে কর্মহীন মানুষ আবেগ আপ্লুত হয়ে পরেন। মঙ্গলবার তিনি কোম্পানীগঞ্জে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করতে যান। সেখানে ভোলাগঞ্জ গুচ্ছগ্রাম, টুকেরবাজার সহ কয়েকটি গ্রামের ৩০০ মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করেন।
বর্তমানে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন নিজে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন। তিনি প্রতিটি থানার অসহায় মানুষের বাড়িতে পুলিশ দিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং যাদের ঘরে খাবার নেই তাদের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন। পুলিশ সুপারের মানবসেবার এসব কর্মকান্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জনসাধারণ। এমন প্রশংসনীয় কাজে সিলেটবাসীর মনে এখন মানবতার ফেরিওয়ালা তিনি।