বড়লেখায় হদিস নেই শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডের লাখ লাখ টাকার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ এপ্রিল ২০২০, ৩:৫৭ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব ঠেকাতে গণপরিবহনের চাকা বন্ধ দু’সপ্তাহ ধরে। সড়কে দাপিয়ে বেড়ানো বাস, সিএনজি চালিত আটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিক্সার ঠাঁই হয়েছে এখন বিভিন্ন স্ট্যান্ড ও গ্যারেজে। এমনই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ৬-৭ হাজার সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক।
এদের মধ্যে অনেক শ্রমিক রয়েছেন যারা মাসিক বেতনভোগী নয়, ট্রিপ হিসাবে পারিশ্রমিক পেতেন। অল্প কিছু শ্রমিক রয়েছেন যারা মাসিক বেতনে ড্রাইভিং করতেন। প্রত্যেক পরিবহন শ্রমিক তাদের সংগঠনের ফান্ডে (শ্রমিক কল্যাণ) প্রতিদিন চাঁদা দিতেন। লাখ লাখ টাকা ফান্ডে জমা থাকলেও দুর্দিনে শ্রমিক নেতাদের দেখা পাচ্ছে না বেকার হয়ে পড়া এসব শ্রমিকরা।
জানা গেছে, গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবহনের সাথে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রতিমাসে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নামে চাঁদা আদায় করা শ্রমিক নেতাদেরও তারা পাশে পাচ্ছেনা। কখন এ অবস্থা স্বাভাবিক হবে, এ নিয়ে চরম অনিশ্চতায় তাদের দিন কাটছে।
উপজেলার বিছরাবাজার এলাকার ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক হারুন মিয়া বলেন, ১১ দিন ধরে পরিবার নিয়ে খুবকষ্টে জীবনযাপন করছেন। যা সঞ্চয় ছিল তা সবই শেষ। ঘরে খাবার নেই। প্রতিদিন আমাদের কল্যাণের নামে সমিতিতে চাঁদা দিতাম। কিন্তু এই দুঃসময়ে শ্রমিক নেতাদের কেউ খোঁজও নিচ্ছে না। এভাবে আর কিছুদিন চলতে থাকলে বউ বাচ্চারা নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।
বড়লেখা পৌর এলাকার হাটবন্দ কলনীর সুমন আহমদ, রেল কলনীর কামাল হোসেন একই প্রতিক্রিয়া জানান। তাদের অভিযোগ প্রতিদিন স্ট্যান্ডে ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হত শ্রমিক কল্যাণের নামে। কিন্তু আজ ১২ দিন ধরে রিক্সা বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় স্ট্যান্ডের সভাপতি সম্পাদক কেউ তাদের খোঁজ নিচ্ছেনা। সরকারি কোন ত্রাণও জোটছেনা তাদের ভাগ্যে। এ অবস্থায় কিভাবে চলবে তাদের আগামী দিনগুলো এ নিয়ে ভীষন দু:চিন্তায় আছেন পরিবহণ শ্রমিকরা।