কুলাউড়ায় ৭০ দিন মজুরী বঞ্চিত ৩০০ চা শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তা দিলো জেলা প্রশাসন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ এপ্রিল ২০২০, ২:৫১ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কালিটি চা বাগানের চা শ্রমিকদের ৭০ দিন ধরে সাপ্তাহিক মজুরী বন্ধ থাকায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। একদিকে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ও ক্ষুধার্ত শ্রমিকদের অসহায়ত্ব কথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরে চা শ্রমিকদের খাদ্যসহায়তা দিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন।
গত সোমবার (৬ এপ্রিল) কালিটি চা বাগানে কর্মরত ৩০০ জন চা শ্রমিকের হাতে জেলা প্রশাসনের খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেন কুরাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান।
জানা যায়, মজুরী বঞ্চিত এ চা শ্রমিকদের কষ্টের কথা জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরীনকে জানান কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী। উপজেলা প্রশাসনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের মানবেতর জীবনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ও দেশের করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় শ্রমিকদের সহায়তা দেন জেলা প্রশাসক।
খাদ্য সহায়তা হিসেবে জনপ্রতি ১০ কেজি চাউল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, আধা কেজি ডাল, ১ কেজি লবন, আধা লিটার সয়াবিন তেল ও ১টি সাবান দেয়া হয়েছে।
শ্রমিকরা ক্ষোভের সাথে জানান, বাগান মালিক গত দশ সপ্তাহ যাবত আমাদের পাওনা মজুরী দিচ্ছে না। আমরা কি অর্ধাহারে অনাহারে মরে যাবো। বাগান মালিক বার বার আমাদের পাওনা মজুরী পরিশোধের আশ্বাস দিয়েও কোন মজুরী দেননি। শ্রমিকরা এমনিতেই সামান্য মজুরী পান। আমরা গত ১০ সপ্তাহ কাজ করে কোন মজুরী পাচ্ছিনা। আমাদের ঘরে খাবারের কোন ব্যবস্থা নেই।
আমরা এসব সরকারি ত্রান পেয়ে কয়েকদিন হয়তো বাঁচতে পারবো? আমরা চাই আমাদের বাগানের মজুরীর সমস্যার স্থায়ীভাবে সমাধান চাই। শ্রমিকদের কথা শুনে উপজেলা চেয়ারম্যান তাদের বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আগামী এক সপ্তাহের ভিতরে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান, কালিটি চা-বাগানের শ্রমিকরা দীর্ঘদিন থেকে অত্যন্ত মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। তাদের বিষয় নিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে অনেকবার কথা হয়েছে কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।। বর্তমানে জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরীন ম্যাডামের চেষ্ঠায় বর্তমানে ৩০০ শ্রমিককে ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়েছে। বাকি শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে ত্রান সহায়তা দেয়া হবে।