সূর্যের আলোতেই বন্ধ সব: বিকেলেই নীরব সিলেট, ব্যতিক্রমী এক নজির
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ এপ্রিল ২০২০, ৮:৫০ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কার্যকর হয়েছেন ফার্মেসী ব্যতীত দোকনপাঠ বন্ধ রাখা নির্দেশনার। ইতিহাসে হয়তো প্রথমই দিনের বেলা সূর্যের আলোতে দোকান বন্ধের কোন নির্দেশনা একসাথে বলবৎ হলো। মানবকল্যানে এই বন্ধ নির্দেশনার ছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। ঘড়ির কাটায় যখন বিকেল ৫টার দিকে ধাবিত হচ্ছে এর মধ্যে দোকানীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন দোকান বন্ধের। ঠিক তাই হলো। গ্রাম শহর হাট বাজার সর্বত্রই দোকান বন্ধের ব্যতিক্রমী এক নজির দেখা গেল। করোনা ভাইরাসের ছোবল থেকে রক্ষায় সাধারন মানুষ ঘরমুখো করতে এমন সিদ্ধান্তের প্রতি মানুষের ইতিবাচক সাড়া সত্যই বিরল এক দৃষ্টান্ত।
সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে বিকেল ঠিক পাঁচটায় বন্ধ হয় ওষুধের দোকান ছাড়া সিলেটের সব দোকানপাট। কেবল নগরী নয়, বিকেল ৫টায় একযোগে বন্ধ হয়ে গেছে সিলেটের সকল হাট বাজারের দোকানপাটও। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঠিক রোববার ৫ টায় দোকানপাট বন্ধ করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ছিলো তৎপর। সিলেটের হাটবাজারগুলোতে মানুষ চলাচলও কমে গেছে। ফলে রবিবার (০৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টার পর থেকে পুরো সিলেটজুড়ে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে।
বিকেল ৫টার মধ্যে ফার্মেসি ছাড়া সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখতে গতকাল শনিবার (৪ এপ্রিল) আদেশ জারি করে সিলেট জেলা প্রশাসন। আদেশ অনুযায়ী সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান এবং সার, বীজ ও কীটনাশকের দোকান খোলা রাখা যাবে। বিকেল ৫টা পর ঔষুধের দোকান ছাড়া কোনো দোকানপাট খোলা রাখা যাবে না।
রবিবার (৫ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটার পর নগরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, রিকাবীবাজার ও নয়াসড়ক এলাকা ঘুরে ফার্মেসি ছাড়া কোনো দোকানপাট খোলা দেখা যায়নি। সকাল থেকেই লোকজন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্র ক্রয় করতে থাকেন। ৫টার আগেই তারা ঘরে ফিরেন। ব্যবসায়ীরাও পাঁচটা বাজার আগেই তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দেন।
সিলেট শহরতলীর টুকেরবাজার, শিবের বাজার সহ গ্রামীণ হাটবাজার ও একই সময়ে বন্ধ হতে দেখা গেছে। তাছাড়া সিলেটের অন্য উপজেলার হাটবাজারও বন্ধ করা হয়।
করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে নিরাপদে রাখতে সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম শনিবার রাতে বিকেল ৫টায় দোকানপাট বন্ধ রাখার আদেশ জারী করেন। সিলেট শহর ও জেলার সকল উপজেলার ক্ষেত্রে এ নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ প্রদান করেন শনিবার রাতে। সকাল থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ও সার, বীজ, কীটনাশকের দোকান খোলা রাখা যাবে । আর বন্ধ করতে হবে বিকেল ৫টায়। বিকেল ৫টা পর শুধু ঔষধের দোকান খোলা রাখা যাবে।